কবিতা পর্ব : কদম ফুল ও মড়ক
হাবিবুর রহমান

প্রতীকী ছবি
কদম ফুল
হাসনাহেনা ফোটে কেবল রাতে
গোলাপ ছিঁড়তে কাঁটা বিঁধে হাতে।
শিয়াল কাঁটার ফুলটা ভীষণ ভালো
তুলতে তো সেই কাঁটাই কাল হলো।
দোলনচাঁপা দুঃখ পুষে রাখে
শিমুল গাছে ভূতেরা সব থাকে
তখন থেকে ফুলের প্রতি ভয়
ফুলগুলো সব কেমন যেন হয়।
ঘাসফুলেদের সুবাস পাই না মোটে
সোনালুটা দেখতে ভালো বটে।
কাঠগোলাপে ভীষণ মাথা ধরে
কৃষ্ণচূড়া রক্ত হয়ে ঝরে।
টবে তোমার লজ্জাবতী ফোটে
আমার বুকে দখিন হাওয়া ছোটে।
কুসুম চিনতে হয় না এখন ভুল
জুঁই-কামিনী সত্যি ভালো ফুল।
তখন থেকে ফুলের সাথে ভাব
গন্ধরাজটা সত্যি লা-জবাব।
বর্ষাকালে ঝিলের ভীষণ সুখ
লাল শালুকে রঙিন সারা বুক।
তুমি হঠাৎ কদম নিয়ে হাতে
মিষ্টি হেসে যাচ্ছ অচিন পথে।
ফুলটা ভালো, ভীষণ সাদাসিধে
নেই কাঁটা তাও কাঁটার মতো বিঁধে।
সেদিন থেকে প্রিয় কদম ফুল
আমিও এখন কদমে মশগুল।
****
মড়ক
মস্তিষ্কে শুকনো পাতার খেলা।
পায়ের তলায় পুরোনো রক্তের ছাপ।
চোখের সামনে লাশ কাটা ঘর।
ছুটে আসছে গাড়ি
ওপাশে শ্মশান-কবর।
শুনতে পাচ্ছো?
তোমার মারণাস্ত্র কাজে আসছে না।
সীমান্তের কাঁটাতার তোমার ঘরের দেওয়াল,
এঘরে তুমি আর ওঘরে তোমার প্রিয়জন।
তোমার কি ভয় হচ্ছে, বলো ভয় হচ্ছে?
একটি কফিন তোমার অপেক্ষায়।
একটি কবর তোমার অপেক্ষায়।
খানিক বাদেই আসবে লাশবাহী গাড়ি।
কার বুকে ঠেকাবে মেশিনগান?
কার বুকে চালাবে গুলি?
যে তোমাকে বাঁচাতে পারতো
সে মরছে তোমারি পাতানো খেলায়।
যুদ্ধে অথবা ক্ষুধায়।
তবু একদিন থেমে গেলে মহামারি,
থামবে না জানি যুদ্ধের নেশা
মানুষের আহাজারি।
থামবে না জানি ক্ষুধা-দারিদ্র্য
থামবে না জানি ভয়।
মানব কলমে দানব অতীত
সেই মত কথা কয়।
জানি বেঁচে গেলে ভুলে যাবে সব
মানবধর্ম এই,
পৃথিবীতে আজও মানুষের চেয়ে বড় জানোয়ার নেই।
- ছোট গল্প: হৃদয় আকাশে মেঘ
- কবিতা: মায়ের ভাষা
- কবিতা: চৈতী তৃষা
- স্যুলি প্রুদোম : সাহিত্যে প্রথম নোবেল বিজয়ী
- কবিতা: সাদা পাথর ছুঁয়েছে মন
- কবিতা: নীল-দিগন্ত ও শোনো, উত্তর দাও
- কবিতা: কখনো কি, বিধ্বস্ত নগরী ও অর্থ
- আনি আরনক্স: আত্মজীবনীর নতুন রূপকার
- নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন আজ
- সাহিত্য কর্ম: চন্দ্রলেখা