গোসল ফরজ হয় কখন?
ধর্ম ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহা থেকে বর্ণিত, এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কোনো পুরুষ তার (স্ত্রীর) দুই পা ও দুই রানের মাঝে বসবে এবং একের লজ্জাস্থান অপরের লজ্জাস্থানের সঙ্গে লেগে যাবে তখন (দু’জনেরই) গোসল ফরজ হয়ে যাবে’। (মুসলিম, হাদিস, ৩৪৯)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা অপবিত্র হও তাহলে গোসল করে সমস্ত শরীর পবিত্র করে নাও। কিন্তু যদি রোগগ্রস্ত হও কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে ফিরে আস কিংবা তোমরা স্ত্রীদেরকে স্পর্শ কর (স্ত্রী-সহবাস কর), অতঃপর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও, তখন তোমরা তা দ্বারা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসাহ কর, আল্লাহ তোমাদের উপর কোনো সংকীর্ণতা আনয়ন করতে চান না, বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে ও তোমাদের উপর স্বীয় নিআমাত পূর্ণ করতে চান, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর’। (সূরা: মায়েদা, আয়াত: ৫)
কারো ওপর গোসল ফরজ হলে প্রথমে তাকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হওয়ার নিয়ত করতে হবে। মানে স্ত্রী-সঙ্গম, স্বপ্নদোষ, ঋতুগ্রাব ও প্রসব ইত্যাদির কারণে যে নাপাকি এসেছে, সেটা দূর করার নিয়ত করবেন। অর্থাৎ, মনে মনে এই চিন্তা করবেন যে- নাপাকি দূর করার জন্য গোসল করছি।
এরপর লজ্জাস্থানে লেগে থাকা নাপাকি প্রথমে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেবেন। সাবান বা এজাতীয় কিছু দিয়ে ধুতে পারলে ভালো; না হলেও অসুবিধা নেই।
তারপর নামাজের ওজুর মতো করে পূর্ণাঙ্গ ওজু করবেন। এরপর পানি দিয়ে মাথা ভিজিয়ে নেবেন। তারপর প্রথমে শরীরের ডান অংশে এবং পরে বাম অংশে পানি ঢালবেন। তারপর সারা দেহে পানি ঢালবেন।
- পিরিয়ডকালে রোজার বিধান
- ‘আস্তাকফিরুল্লাহ’ নাকি ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ কোনটি সঠিক?
- রিজিকে বরকত কমে যায় যে কারণে
- ঋণ মুক্তির দোয়া
- সেহরির আগে স্বপ্নদোষ হলে করণীয়
- ফজর পড়ার সময় সূর্যোদয় হলে নামাজ হবে?
- মসজিদের দিকে যেতে যেতে যে দোয়া পড়তেন নবিজী (সা.)
- আসছে রমজান, হালাল সহবাসে যত বিধান
- রাসুলুল্লাহ (সা.) এর তওবাহ ও ইসতেগফার
- সুরা কাফেরুন: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা