ঢাকা, বুধবার   ৩১ মে ২০২৩ ||  জ্যৈষ্ঠ ১৬ ১৪৩০

রাজনীতিতে তারেক জিয়ার ব্যর্থতার শত কারণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২০, ১৭ জুলাই ২০২২  

তারেক জিয়া

তারেক জিয়া

রাজনীতিতে তারেকের ব্যর্থতার শত কারণ থাকলেও মূল কয়েকটি বিষয়কেই এগিয়ে রাখছেন নিজ দলের নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারেক জিয়ার একচ্ছত্র আধিপত্যের দিনে রাজনৈতিক গবেষক এবং বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কেউ কেউ তারেক জিয়ার আজকের পরিণতি দেখেছিলেন। তারেক আগুনে বিএনপির সর্বনাশের পূর্বাভাসও দিয়েছিলেন কেউ কেউ।

নানা কারণে তারেক জিয়া কখনো ভালো নেতা হতে পারবেন না বলেও তারা মন্তব্য করেন। তার যে দশটি কারণেই তিনি কখনোই ভালো নেতা হতে পারবেন না তা নিচে উল্লেখ করা হলো-

১. শিক্ষার অভাব: এ যুগে রাজনীতির জন্য শিক্ষার প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা মানে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। বইপত্র, রাজনৈতিক নিবন্ধ পড়া ইত্যাদি। তারেক জিয়ার শিক্ষার অবস্থা যেমন নড়বড়ে, তেমনি অন্য পড়াশুনার প্রতিও তার আগ্রহ নেই।

২. নিজের অজ্ঞতা স্বীকার না করা: তারেক জিয়ার মধ্যে ছিল সবজান্তা ভাব। কোনো বিষয় না জানা থাকলেও কেউ যখন কোনো তথ্য দেয় তখন ‘হ্যাঁ হ্যাঁ জানি’ বলাটা তারেক জিয়ার বড় বদঅভ্যাস। এ কারণে এখন তারেক জিয়াকে কেউ কোনো তথ্য স্বাচ্ছন্দ্যে দেয় না। তার সবজান্তা স্বভাবের কারণে তার রাজনৈতিক উত্থান সম্ভব হয়নি।

৩. অর্থলোভ: তারেক জিয়া প্রচণ্ড অর্থলোভী। টাকার জন্য সে সবকিছু করতে পারে। অর্থলোভ তার রাজনৈতিক বিকাশের অন্যতম বাধা।

৪. অন্ধ বন্ধু প্রেম: তারেক জিয়া যখন ক্ষমতার চূড়ায় তখনই বিএনপির কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন যে, বন্ধুরাই তারেককে ডোবাবে। তারেক জিয়া তার বন্ধুদের ব্যাপারে অন্ধ। বিএনপির কেউ কেউ বলেন, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি এবং লুটপাট সবই করেছে তার বন্ধুরা, নাম হয়েছে তারেক জিয়ার। বন্ধুদের কারণেই রাজনীতিতে কক্ষচ্যুত হয়েছেন তারেক জিয়া।

৫. অসৎ সঙ্গ: তারেক জিয়ার চারপাশে যারা থাকেন তারা প্রায় সবাই অযোগ্য অসৎ। এরা তাকে ভুল তথ্য দেয়, তোষামোদী করে। এদের দ্বারা পরিবেষ্টিত তারেক কখনও সুস্থ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

৬. সিনিয়রদের প্রতি অশ্রদ্ধা: বিনয়ের অভাব তারেক জিয়ার এক বড় বৈশিষ্ট্য। দলের অনেক সিনিয়র নেতাই তারেক জিয়ার কাছে অপমানিত হয়েছেন। এদের কেউ কেউ তারেককে এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, সিনিয়রদের অপমান করে ভালো নেতা হওয়া যায় না।

৭. সঠিক লোক চিনতে না পারা: সঠিক লোক চিনতে না পারা রাজনীতিবীদের বড় দুর্বলতা। তারেক জিয়া তার ক্ষুদ্র রাজনৈতিক জীবনে কখনো সঠিক লোক চিনতে পারেননি। ভুল লোককে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন, এমনটাই মনে করেন বিএনপির অনেক নেতা। এক্ষেত্রে তারা উদাহরণ দেন, সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের। যাকে সাতজনকে ডিঙ্গিয়ে তারেক সেনাপ্রধান করেছিলেন।

৮. আদর্শহীনতা: তারেক জিয়ার কাছে রাজনীতি হলো কূটকৌশল এবং অন্যকে ঠকানো। তারেক জিয়া কোনো আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে আসা ব্যাক্তি নন। এজন্যই রাজনীতিতে তার কাছে আদর্শ বলে কিছু নেই। এজন্য ক্ষমতায় যেতে যেমন ভারতের কাছে সব বিলিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, তেমনি আবার বিরোধী প্রতিপক্ষকে গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দিতেও কার্পণ্য করেন না।

৯. মিথ্যেবাদিতা: বিএনপিতে তারেকের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন অনেকেই বলেন, তারেক অসম্ভব মিথ্যেবাদী। রাজনৈতিক আলোচনায় তিনি সত্যি বলেন খুবই কম। এরকম মিথ্যাবাদী ব্যাক্তি কখনো রাজনীতিতে সফল হতে পারেন না।

১০. শারীরিক গঠন: তারেক জিয়ার শারীরিক গঠন নেতা হবার মত নয়। তার চেহেরা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নয়, এমনটাই মনে করেন অনেকে।

এসব কারণেই তারেক জিয়া রাজনীতিতে অসফল এবং তার ভবিষ্যৎ আন্ধকারাচ্ছন্ন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়