রিখটার স্কেলে প্রায় ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল পদ্মা সেতু
নিউজ ডেস্ক

ফাইল ছবি
পদ্মা সেতুর পিলারের নিচে ৬২ মিটার পর্যন্ত মাটি সরে যেতে পারে, এটা ধরে নকশা করা হয়েছে। পদ্মা সেতু রিখটার স্কেলে প্রায় আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। সেতুটি চার হাজার ডেড ওয়েট টনেজ (ডিডব্লিউটি) ক্ষমতার জাহাজের ধাক্কা সামলাতে পারবে।
মাটি সরে যাওয়া, জাহাজের ধাক্কা ও আট মাত্রার ভূমিকম্প—তিনটি একসঙ্গে ঘটলেও সেতুটি টিকে যাবে, নকশায় এমনটাই ধরা হয়েছে।
পদ্মা সেতুকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে সর্বোচ্চ ক্ষমতার বিশেষ ধরনের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে, যার নাম ‘ডাবল কারভেচার ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’। সবচেয়ে বড় বিয়ারিংটির ওজন ১৫ টন। মোট বিয়ারিং লেগেছে ৯৬ সেট। এগুলো পিলার এবং স্প্যানের মাঝখানে বসানো হয়েছে। এসব বিয়ারিং প্রায় এক লাখ টন ক্ষমতার কম্পন প্রতিরোধে সক্ষম।
কীভাবে ভূমিকম্প ঠেকাবে এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রকৌশলীরা। তাঁরা বলছেন, ভূমিকম্প মাটিতে কম্পন সৃষ্টি করে। এই কম্পন প্রথমে পিলারে যাবে। বিয়ারিংগুলো এর কম্পন ক্ষমতা কমিয়ে দেবে। এ ছাড়া স্প্যানে ভূমিকম্পের সামান্য আঘাত গেলেও তা থেকে সেতুকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি জোড়ায় সংকোচন-সম্প্রসারণের বিয়ারিং বসানো হয়েছে।
বড় ভূমিকম্প থেকেও যে সেতুটি রক্ষা পাবে, সেই সেতুর উপরের অংশের ওজন আসলে কত? পদ্মা সেতুর ওপরের কাঠামোর প্রতিটি স্প্যানের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন। পুরো সেতুতে এমন স্প্যান আছে ৪১টি। ফলে সব মিলিয়ে স্প্যানের ওজন দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টন। এর ওপর রেলের গার্ডার, দুই স্তরের কংক্রিটের স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ফলে তা কয়েক লাখ টন ওজনের একটি স্থাপনা।
- পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ২০২৩ সালে
- মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিটেই পদ্মার এপার ওপার
- পদ্মাসেতুর টোলসহ ১৩ রুটের বাস ভাড়া নির্ধারণ করেছে বিআরটিএ
- বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না: সেনাপ্রধান
- রডের দৈর্ঘ্য টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার চেয়ে বেশি পদ্মাসেতুর
- জুনে উদ্বোধন, নাম ‘পদ্মা সেতু’ই হবে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- পর্যটন বিকাশে চালু হচ্ছে হোম স্টে সার্ভিস
- পদ্মা সেতুর তেলেসমাতি: শরীয়তপুরের জমি এখন স্বর্ণ
- আরো ২৪ ট্রেন চালু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে