শ্লীলতাহানির মামলা : জ্বরে আক্রান্ত পরিমনি আসেননি সাক্ষ্য দিতে
নিউজ ডেস্ক

চিত্রনায়িকা পরীমনি
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরীমনির হালকা জ্বর ও পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে সাক্ষ্য দিতে আদালতে যাননি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পরীমনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
পরীমনির আইনজীবী নীলঞ্জনা সুরভী রিফাত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পরীমনির আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তিনি শুটিং থেকে বাসায় ফিরে হালকা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পারিবারিক ব্যবস্থা থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য আমরা আদালতে সময়ের আবেদন দাখিল করি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ক্যামেরা ট্রায়ালে এ মামলার বিচারকাজ হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে পরীমনি তার স্বামী রাজকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। সে সময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের আবেদন করেন। দুই আসামির উপস্থিতিতে পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আদালত পরীমণির আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষ। এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর গত বছরের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমনি।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। অপর দুই আসামি হলেন- তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরিমনি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরীমনি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
- বিএনপি নেতা ফালুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ আগস্ট
- দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
- ঢাকার সব ভবনের গ্যাসলাইন পর্যবেক্ষণে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
- তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- বিএনপি নেতা আমানের আত্মসমর্পণ, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
- ইসির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৭ ডিসেম্বর
- খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৩ ডিসেম্বর
- অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- বাবুল আক্তার ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা