সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে জাতীয় সংসদে বিল পাস
নিউজ ডেস্ক

সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে জাতীয় সংসদে বিল পাস
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, ক্রয় প্রক্রিয়া সহজ ও টেকসই এবং ক্রয় কাজে অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে। আগামীতে এই বিধান অনুযায়ী নতুন একটি অথরিটি (কর্তৃপক্ষ) গঠিত হবে।
গতকাল রোববার ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, বেগম রওশন আরা মান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ ও রুস্তম আলী ফরাজী, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।
সংসদে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত আইনগুলোর প্রতিপালন নিয়ন্ত্রণ, পরিবীক্ষণ, সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) গঠিত হবে। বিপিপিএ’র ১৭ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। যার চেয়ারম্যান পরিকল্পনা মন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। সরকার নিয়োগকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিলের ৯ ধারায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলিতে বলা হয়েছে, এই কর্তৃপক্ষ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতি, কৌশল ও আইনি কাঠামো প্রণয়ন, বিপিপিএর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নীতি প্রণয়ন; বিপিপিএর উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন; বিপিপিএর সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ ও বিধিমালা ২০০৮-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন আনাসহ সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
বিলের ১৫ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সরকারি কেনাকাটার তথ্য, দলিল ও নথিপত্র তলবের ক্ষমতা থাকবে বিপিপিএর। কেনাকাটার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত আইনগুলো সঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করতে পারবে। সরকারি কেনাকাটায় কোনো আইন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তা সংশোধন করে কোনো ক্রয়কারীকে ক্রয় প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন বা সংশোধন করার পরামর্শ ও সুপারিশ বা প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ২০০২ সালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির অধীনে একটি ইউনিট হিসেবে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) গঠন করা হয়। সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও পেশাদারি সৃষ্টির লক্ষ্যে সিপিটিইউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কিন্তু সরকারের উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুযায়ী সরকারি ক্রয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি ক্রয়ের এ বর্ধিত কলেবরের আইনি ও কারিগরি তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো সিপিটিইউতে নেই। তাই আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াজনিত বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
- বিএনপি নেতা ফালুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ আগস্ট
- দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
- ঢাকার সব ভবনের গ্যাসলাইন পর্যবেক্ষণে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
- তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- বিএনপি নেতা আমানের আত্মসমর্পণ, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
- ইসির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৭ ডিসেম্বর
- খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৩ ডিসেম্বর
- অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- বাবুল আক্তার ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা