৫০-২৫-২৫: যে নিয়ম আপনার ভবিষ্যৎ পাল্টে দিতে পারে
লাইফস্টাইল ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত
আয় বুঝে ব্যয় কর। এটি বহু ভাষায় বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্য। প্রতিটি প্রবাদ বাক্যই বাস্তবতার নির্যাস। তবুও এ চিরন্তন সত্য ভুলে গিয়ে কিংবা কোনো তোয়াক্কা না করে অনেকেই আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করে। কেউ কেউ বিলাসিতাও করে। ফলে তারা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এরপরই জীবন নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়ন।
নিজের যতটুকু আয়, ততটুকুর মধ্যে কীভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করা হয় তা ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। তাই জানতে হবে অর্থ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে।
চলুন জেনে নেয়া যাক, অর্থ ব্যবস্থাপনার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম —
সঞ্চয়
সঞ্চয় মানেই ভবিষ্যতের ভাবনা। বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধু তৈরি হয়। তাই অল্প অল্প করে সঞ্চয় করার অভ্যাস তৈরি করুন। যারা চাকরি করছেন তাদের জন্য সঞ্চয় করাও সহজ। এ ছাড়া যারা ব্যবসা করেন, ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদেরও সঞ্চয় করা উচিত। সঞ্চয় আসলে সবার জন্যই। আপনি যে পরিমাণ অর্থ আয় করেন, তার অন্তত এক–চতুর্থাংশ জমা করুন। খুব ভালো হয়, যদি এক-তৃতীয়াংশ জমা করতে পারেন।
ছয় মাসের জরুরি তহবিল
বিপদ কখনো বলে আসে না। যে কোনো সময়, যে কোনো লোকেরই বিপদ হতে পারে। তাই বিপদ থেকে কাটিয়ে উঠতে, জরুরি অবস্থার জন্য সঞ্চয় রাখা খুবই জরুরি। আপনার যদি একাধিক আয়ের উৎস থাকে, তাহলে তিন মাসের জরুরি ফান্ড থাকলেই যথেষ্ট। আর আপনি যদি চাকরি ছেড়ে নিজেই কিছু করতে চান, সে ক্ষেত্রে এক বছর যাতে চলতে পারেন, এমন একটা তহবিল রাখতেই হবে। কেননা, যেকোনো ব্যবসা দাঁড় করাতে গড়ে এক বছর সময় লাগে।
বিনিয়োগ
জরুরি অবস্থার তহবিল বাকি রেখে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা হলে, তার আবার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করুন। বিনিয়োগের মাধ্যমেই তৈরি হতে পারে বিকল্প কোনো আয়ের উৎস।
৫০-২৫-২৫–এর নিয়ম
যা আয় করবেন, এর ৫০ ভাগ দিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটাবেন। ২৫ ভাগ দিয়ে শখ মেটাবেন। আর ২৫ ভাগ সঞ্চয় করবেন।
বাড়ি ভাড়া
আপনার আয়ের সর্বোচ্চ এক–চতুর্থাংশ হতে হবে আপনার বাড়ি ভাড়া। তাই বাসা ভাড়া নেয়ার সময় বিষয়টি মাথায় রাখবেন। অর্থাৎ আপনার বেতন যদি হয় ৮০ হাজার টাকা, তাহলে যে বাসার ভাড়া, সিকিউরিটি চার্জ, পানির বিল, গ্যাসের বিল, বিদ্যুতের বিল—সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা, এমন একটি বাসাই আপনার জন্য প্রযোজ্য। এর কম হলে আরও ভালো।
দ্বিধা নিয়ে ক্রয় নয়
কোনো কিছু কেনার ক্ষেত্রে যদি সামান্যতম দ্বিধাও কাজ করে, ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। ২৪ ঘণ্টা পর নিশ্চিত হয়ে কিনুন। এভাবে কেনাকাটা করলে অনেক অযথা কেনাকাটা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
বিলাসদ্রব্য
বিলাসী পণ্যের লোভ সংবরণ করুন। ৫০০ টাকার জুতা দিয়ে যদি দিব্যি চলে যায়, তাহলে ৫০০০ টাকা দিয়ে জুতা কেনার কী দরকার?
- ডেঙ্গু আক্রান্তরা কেন ডাবের পানি পান করবেন?
- দাম্পত্যে সহবাস থেকে দূরে থাকলে যেসব সমস্যা হতে পারে
- বিয়ের পর নারীদের ওজন বাড়ে কেন?
- সুন্দরী মেয়েদের জন্যই দিন দিন আয়ু কমে যাচ্ছে ছেলেদের
- সঙ্গীর পাশে ঘুমালে সুস্থ থাকে শরীর ও মন
- ভরা পেটে সহবাসে লিপ্ত হলে বিপদ!
- কোন রাশির সঙ্গে কোন রাশির বিয়ে একদম উচিত নয়
- মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখার বৈজ্ঞানিক কারণ কী?
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার সহজ সাত টিপস
- প্রপোজ করার সময় যা করবেন না