নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুই জনের সাক্ষ্য

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৪ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন।

এরপর জব্দতালিকার সাক্ষী আব্দুল বাকী ও নাইকো চুক্তির সময় খসড়া তালিকার সদস্য এ কে এম আনোয়ার ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এদের মধ্যে আনোয়ারের জেরা শেষ হলেও অপর সাক্ষী বাকীর জেরা শেষ হয়নি। আদালত বাকীর জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৪ মে দিন ধার্য করেন।

গত ৪ মার্চ আব্দুল বাকী আংশিক জবানবন্দি দেন। ঐদিন আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৪ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন।খালেদা জিয়ার আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।