রাজনীতি থেকে অবসর চান ফখরুল, হাল ধরার কেউ নেই বিএনপিতে

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার

রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান মির্জা ফখরুল, হাল ধরার কেউ নেই বিএনপিতে

রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান মির্জা ফখরুল, হাল ধরার কেউ নেই বিএনপিতে

বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির দুঃসময়ে শক্ত হাতে দলতে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, দল থেকে তাকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। এরই মধ্যে জানা গেল, ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিক রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তার এ সিদ্ধান্তের পর বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব নেবার জন্য অন্য নেতাদের এগিয়ে আসার কথা থাকলেও দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসছে না কেউ।

কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি ফিরোজায় বেগম খালেদা জিয়ার কাছেও গিয়েছিলেন। এছাড়া লন্ডনে বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছেও মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন, তিনি এখন দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে অপারগ। রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ে অনেকগুলো আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। কাজেই এখন নতুন নেতৃত্ব আসা উচিত বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মনে করেন, যদি নতুন নেতৃত্ব না আনা হয় সেক্ষেত্রে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা এবং আস্থার সঙ্কট তৈরি হবে। তাই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে অনুজদের সুযোগ করে দিতে চান।

এছাড়াও তিনি নিজে শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই অসুস্থতার জন্য তাকে যেটুকু সময় দলের জন্য দেওয়া উচিত সেটা তিনি দিতে পারছেন না। এ জন্য তার মহাসচিব পদে থাকা সমীচীন নয় বলে তিনি মনে করেন। তার স্ত্রী দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই অবস্থায় স্ত্রীকে তার সময় দেওয়া উচিত এবং এই অসুস্থতার চিকিত্সার জন্য স্ত্রীর পাশে থাকতে চান। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে সময় দেওয়া সম্ভব নয় তার পক্ষে।

তবে দলের অনেক সিনিয়র নেতা মনে করছেন, মির্জা ফখরুল রাজনীতি ছাড়তে চাচ্ছেন অভিমান থেকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একক স্বেচ্ছাচারিতায় দল চালাচ্ছেন, যেটি তার পছন্দ হয় না। এ জন্যই তিনি বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাইছেন। আর তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই অন্য নেতারা মহাসচিবের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না।