জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার

জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে

জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে

জাম (Java plum, Jambul, Malabar plum) একটি চিরসবুজ ফলদ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium cumini। এটি Myrtaceae পরিবারভুক্ত একটি ফল।এর সংস্কৃত নাম জম্বু, জম্বুফল। এবং সমার্থক বাংলা নাম কালোজাম। এটি ভারতবর্ষের আদি গাছ।

জাম গাছ প্রায় ৬০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এই গাছের পাতা গন্ধযুক্ত। কচি পাতা গোলাপি। পাতা বড় হলে তা গাঢ় সবুজ বর্ণের হয়। তবে এর মধ্য শিরা হলদেটে হয়। পাতাগুলো মসৃণ ও চকচকে হয়ে থাকে।

মার্চ-এপ্রিলে মাসে এই গাছে ফুল আসে। জামের ফুলগুলো ছোট, সাদা এবং গন্ধযুক্ত। মে-জুন মাসে ফল বড় হয়। ফল একটু বড় হলে এর রঙ গোলাপী বর্ণ ধারণ করে। পাকলে কালো বা ঘন কালচে বেগুনি হয়ে যায়। জামের রস বেগুনি। ফলগুলো প্রায় ১ থেকে ১.৫ ইঞ্চি লম্বা হয়। এর ভেতরে একটি লম্বাটে বড় বিচি থাকে। এই গাছ বাংলাদেশ, ভারতের প্রায় সর্বত্র, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাতে এই গাছ প্রচুর জন্মে। জাম গাছের বীজ, ফল, পাতা ও ছাল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঔষধি ব্যবহার

১। জামের পাতা ও ছালের রস সকালে ও বিকেলে চিনি সহ সেবন করলে অতিসার রোগ নিরাময় হয়।
২। গ্রহনী রোগ হলে জাম গাছের ছালের রসের সাথে ছাগলের দুধ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। জামে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে তাই জাম খেলে চোখ ও ত্বক ভালো থাকে এবং জাম খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
৪। জাম,আমও আমলকি পাতার রস একত্রে মধু ও দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয়।
৫। জামে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে তাই জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে।
৬। কচি আম পাতার রস বা ক্বাথ মধুসহ খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।
৭। জাম গাছের ছাল মিহি গুঁড়ো করে ক্ষতে লাগালে ক্ষত ভালো হয়।
৮। জাম পাতা ও ছালের ক্বাথ তৈরি করে কুলকুচি করলে গলা,মুখ ও জিভের ঘা ভালো হয়ে যায়।
৯। মুখের যে কোন সমস্যা হলে জাম গাছের পাতার রস  গরম করে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।