বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল

ধর্ম ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৩:১৯ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারই ভয়ে তার প্রশংসা পাঠ করে বজ্রনাদ ও ফেরেশতাগণ। তিনি বজ্রপাত ঘটান, অতঃপর যাকে ইচ্ছা তাকে তা দ্বারা আঘাত করেন; তথাপি তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী।’ সুরা রাদ, আয়াত :১৩।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আর রহমতের বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে বিভিন্ন সময়ে মানুষের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয়। অনেক সময় মানুষের প্রাণ পর্যন্ত বিপন্ন হয়। এজন্যই যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় কিংবা ঝড়-বাতাস দেখা দেয়, তখন রসুল (স.)-এর চেহারা মোবারকে চিন্তার রেখা ফুটে উঠত। তখন তিনি বিভিন্ন দিকে পায়চারি করতেন এবং দোয়া পড়তে থাকতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এই বৃষ্টির মাধ্যমে পাঠানো সমূহ কল্যাণ প্রার্থনা করছি, আর এই বৃষ্টির মাধ্যমে পাঠানো সমূহ বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ চাই।’ এরপর যখন বৃষ্টি হতো, তখন তিনি শান্ত হতেন, যা আমরা মুসলিম শরিফের মাধ্যমে জানতে পারি।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসুল (স.) যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা ওয়া আ-ফিনা-ক্ববলা জা-লিকা।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন (তিরমিজি)। এছাড়া বজ্রপাতের শব্দ শুনে, ‘সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রা’অদু বিহামদিহি।’ কিংবা ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করলে মহান আল্লাহ বজ্রপাত থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।

সর্বোপরি, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে বা বৃষ্টি দেখে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। অতঃপর ঝড়-তুফান ও বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ অর্থ, মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোনো আশ্রয় ও সাহায্য নেই’ পাঠ করতে হবে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও বজ্রপাতের সময় কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ, অতিরিক্ত তওবা ও প্রিয় রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করব। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (স.) বলেন, ‘তোমাদের প্রবল পরাক্রমশালী প্রভু বলেছেন, যদি আমার বান্দারা আমার বিধান মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম, সকালে সূর্য দিতাম এবং কখনো তাদের বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতাম না। (মুসনাদে আহমদ)।