আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের ফল : প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৮:২৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, স্বাধীনতার পর পৃথিবীর বিজ্ঞজনরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রশ্ন করেছিলেন এদেশ চলবে কীভাবে? প্রত্যুত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমার দেশে মাটি ও মানুষ আছে।’ মাটি ও মানুষের প্রতি জাতির পিতার সেই বিশ্বাসের ফল আজকের বাংলাদেশ। দৃঢ় সংকল্প ও প্রতিশ্রুতি ঠিক থাকলে একটি দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ’ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের চেয়ে ১৪০ গুণ বড় হওয়া সত্ত্বেও উৎপাদনে বাংলাদেশ রাশিয়ার চেয়ে এগিয়ে। সরকার ও দেশবাসীর কমিটমেন্ট এবং ডিটারমিনেশন ঠিক ছিল বলেই আজকে বাংলাদেশ এ অবস্থানে এসে পৌঁছেছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে কাজ করছে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ও উন্নত দেশে পরিণত করার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

ড. আহমদ কায়কাউস, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ, পরিচালক মো. কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় প্রমুখ।