বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে গণমুখী ও অবৈতনিক করেছিলেন : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে গণমুখী এবং অবৈতনিক করার পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক ও সোনার বাংলা গড়ার হাতিয়ার এবং সোনার মানুষ গড়ে তোলার জন্য একটি শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করতে চেয়েছিলেন। তিনি সেই শিক্ষা নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-এ-খুদাকে, যেন বাংলাদেশের প্রতিটি সোনার সন্তান বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয়। তারা যেন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে।

বৃহস্পতিবার অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র স্থায়ী ক্যাম্পাসে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার জন্য শিক্ষাকে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পবিত্র সংবিধানে ৭২ এর ৪ নভেম্বর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা- এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত করে রেখে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ থেকে ৫০ বছর আগে তার দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন যে, একটি রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য যদি ৫টা মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যায়, তবে সেই রাষ্ট্র একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। ৫০ বছর পর জাতিসংঘ এসডিজি লক্ষ্য যারা নির্বাচন করেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর সেই কোর ফিলোসোফিকে অনুসরণ করেছেন। বর্তমানে বিশ্বের ২০০ রাষ্ট্র যে উদ্দেশ্য অর্জন নিয়ে কাজ করছে, বঙ্গবন্ধু ৫০ বছর আগেই সংবিধানে সেই দর্শন রেখে গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আইসিটি ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক ও ফিতা কেটে রোবোটিক্স, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভ উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।