শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সীমান্তের পতিত ও উঁচু জমিতে সবজী চাষে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২২ শনিবার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সীমান্তের পতিত ও উঁচু জমিতে সবজী চাষে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সীমান্তের পতিত ও উঁচু জমিতে সবজী চাষে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পাহাড়ী সীমান্ত এলাকায় দরিদ্র পরিবারের লোকেরা বসবাস করে। এসব পরিবারের মানুষের জমি থাকতেও অভাব অনটন ছিল নিত্য দিনের সাথী। কারণ তাদের উঁচু জমিতে পানি সংকটের ধান পাট চাষ করা যেত না। ফলে অতি কষ্টে জীবন যাপন করতো তারা।

এই জনপদে নরসিংদী ও আরো কিছু ভিন্ন এলাকার মানুষ এসে এই এলাকায় বসতি স্থাপন করে। তারা অত্যন্ত দক্ষ কৃষক। তরা এসব উঁচু জমিতে ধান উৎপাদন না করে বিভিন্ন জাতের সবজি সীম, লাউ, বরবটি, করল্লা, চাল কুমুড়, মিষ্টি লাউ, পুটল, কাকরুল, বেগুন, লাল শাক, পালং শাক, ডাঙ্গা, আলু ও মূলা সহ আরো অনেক জাতের সবজি চাষে সফলতা পায়। যা দেখে এলাকার আদি বসতির কৃষকরাও সবজি চাষ শুরু করে।

এখন এলাকার পতিত এবং পড়ে থাকা উঁচু জমিতে ফলছে নানা জাতের সবজি চাষ হচ্ছে। ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী এখন স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পাহাড়ী সীমান্ত এলাকা সন্ধাকুরা, গোমরা, গারকোনা, হলদীগ্রাম, ফাকরাবাদ, ভারুয়া, রংটিয়া সহ আরও অনেক গ্রামে বানিজ্যকভাবে সবজি চাষ শুরু হয়েছে।

এ সব এলাকা থেকে প্রায় প্রতিদিন শত শত মণ বিভিন্ন জাতের সবজি বিক্রি হচ্ছে। এই সমস্ত সবজি ট্রাকযোগে ঢাকা ময়মনসিংহ অঞ্চলের সবজির চাহিদা পূরণ করছে। নগদ টাকায় এই সমস্ত সবজী বিক্রি করে কৃষকরাও খুশি।

সবজি চাষের সফলতার সংবাদ পেয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন দিলদার ঐ সমস্ত এলাকার কৃষকদের মাঝে যান। এলাকায় গিয়ে অনেক কৃষকদের সফলতা দেখে অত্যান্ত খুশি হন তিনি। কৃষকদের মুখে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষের সফলতার কথা শুনেন তিনি।

ভারুয়া গ্রামের হাফেজ আলী জানান, ১৫ শতাংশ জমিতে লাউ চায় করে ৫০ হাজার টাকার উর্ধে লাউ বিক্রি করেছেন তিনি। সন্ধাকুরা গ্রামের আব্দুল কাদির জানান, ২০ শতাংশ জমিতে কেরেলা আগাম জাতের সীম চাষ করে লক্ষাধিক টাকার সীম বিক্রি করেছেন।

এমন সফলতার কথা শুনে খুব খুশি হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক কৃষকদের উৎপাদনের জন্য আরও উৎসাহিত করেন। কৃষকের সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই কর্মকর্তারা।