পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করে যাচ্ছে

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করে যাচ্ছে

পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করে যাচ্ছে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেছেন, গ্র্যাজুয়েটদের লব্ধ জ্ঞান মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের এই দক্ষতাগুলো কাজে লাগাতে হবে। দেশের নিউট্রিশন (পুষ্টি) চাহিদা পূরণে ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে ভেটেরিনারি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ জোরদারকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ঐ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করে স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে হবে। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতেই আজকের এই আয়োজন। এই প্রশিক্ষণগুলো আরো ভালোভাবে নেওয়া যায় কিনা সেদিকে আমাদের জোর দিতে হবে। এই দক্ষ মানুষগুলোকে বিদেশে পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের (ডিএলএস) মহাপরিচালক ড. মো. এমদাদুল হক তালুকদার। 
এছাড়াও ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সময় উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহা. ইলিয়াছুর রহমান ভূঁইয়া।

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের (ডিএলএস) মহাপরিচালক ড. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, আমাদের ভেটেরিনারি সার্ভিস ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে। যেকোনো রোগ নিরাময়ে আমরা দ্রুত কাজ করি। বর্তমানে জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে যেতে হয় না, বরং হাসপাতালের সেবা আমাদের দোরগোড়ায় চলে আসছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই এখন তথ্য সেবাসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায়। পাঁচটি জেলাকে রোগমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বর্তমানে মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে প্রতিবছর ৬২ কোটি টাকার মাংস উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় হুমকি হলো এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট (এএমআর), যা আমাদেরকে সবাই মিলেই মোকাবেলা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ডিএলএসের অনেক কর্মকর্তা পিএইচডি ডিগ্রিধারী। যা আমাদের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে। এছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক কাজ হচ্ছে। ভেটেরিনারিতে কাজের ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিএসে পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ নিব।