বিএনপির অপশাসনের কিছু খণ্ড চিত্র

অনলাইন ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:২৮ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

কোরিয়ান ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত কমোডর গোলাম রব্বানীকে গুলি করে মেরে ফেলে বিএনপি-জামায়াতের মদতে বেপরোয়া হয়ে ওঠা সন্ত্রাসীরা। তিনি বঙ্গবন্ধুর এডিসি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার পরিবারের ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ছিল। তাই তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে অসহায় পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এবং সাহায্য করার জন্য তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হন শেখ হাসিনা। কিন্তু খালেদা জিয়ার সরকারের নির্দেশে বনানীর নৌ-সদর দফতরের সামনে তার গাড়িকে আটকে দেওয়া হয়।

২০০৪ সালের ১৯ এপ্রিলের প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদ থেকে আরো জানা যায়, আধা ঘণ্টা বিভিন্ন অজুহাতে বনানী নৌ-সদর দফতরের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে আটকে রাখা হয়। এসময় লে. কমান্ডার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা জানান, এজন্য আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন বা ডিজিএফআই থেকে অনুমতি নিতে হবে। তাছাড়া নিহত কর্মকর্তার বাসায় তাকে যেতে না দেওয়ার নির্দেশ এসেছে উপরের মহল থেকে।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। একজনের বাসায় গিয়ে দেখা করার জন্য কেনো কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কোথায় গেলে অনুমতি লাগে, সেসব তো আমি জানি।’ এরপরেও শেখ হাসিনাকে নিহতের বাসায় যেতে বাধা দেওয়া হয়। পরে শেখ হাসিনার সাথে নিজেই দেখা করার জন্য বাসা থেকে বের হলে নিহত কমোডর গোলাম রব্বানীর স্ত্রীকেও বাসার নিচে আটকে রাখা হয় বিএনপি-জামায়াত সরকারের নির্দেশে।

পরে বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনের নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে ফেরত যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এসময় সাংবাদিকরা শেখ হাসিনাকে বাধা দেওয়ার ছবি তুলতে চাইলে তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকি সাদা পোশাকধারীরা সেসব ক্যামেরার ফিল্ম ও ক্যাসেট খুলে নেয়।

মূলত, ২০০১ সালে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিদের বিচার থামিয়ে দেয় খালেদা জিয়া। এরপর সেই খুনিদের বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। এমনকি একজন খুনি মারা যাওয়ায়, তাকে মরণোত্তর প্রমোশনও দেওয়া হয়। এছাড়া জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার এক কারাবন্দি আসামিকে মুক্ত করে দিয়ে রাষ্ট্রদূত বানিয়ে দেন খালেদা জিয়া। তিনি যেমন দুই বার প্রধানমন্ত্রী থাকলেও নিজের স্বামীর হত্যার বিচার শুরু করেননি, তেমনি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার শুরু করলেও তা বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং সেই খুনিদের সংসদে স্থান দেন খালেদা জিয়া।

এছাড়াও, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই পারিবারিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সন্তানদের বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াতে পর্যন্ত যোগ দিতে দেওয়া হয়নি শেখ হাসিনাকে। সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে বিশ্ব ইজতেমায় যোগদানের সময়। এমনকি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যাওয়ার ২০ মিনিটের পথেও বারবার হয়রানি করে আটকানো হতো তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে। প্রতিবন্ধকতার কারণে ২০ মিনিটের রাস্তা ৪-৫ ঘণ্টার পর তিনি দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছাতে পারলেও তখন সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হতো সেখানকার। তারপর চালানো হতে অমানষিক নির্যাতন ও গণগ্রেফতার। আওয়ামী রীগের পার্টি অফিসে নিয়মিত ভাঙচুর চালাতো বিএনপি সরকারের পেটোয়া বাহিনী।