দৃশ্যমান হয়েছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল

অনলাইন ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পুরোদমে চলছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ। এই টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা আরও আড়াই গুণ বাড়বে। বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে তৃতীয় টার্মিনাল। ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে এই তৃতীয় টার্মিনাল।

এই প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) তৃতীয় টার্মিনালের তিনটি দৃষ্টিনন্দন ছবি প্রকাশ করেছে। গত বুধবার জাইকার বাংলাদেশের ফেসবুক পেইজ থেকে তৃতীয় টার্মিনালের তিনটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ছবিগুলো এরই মধ্যে ভাইরালও হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। জাইকা বলেছে, শিগগির বিমান ওঠা-নামার কার্যক্রম শুরু করতে তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে।

বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বছরে ৮০ লাখের মতো যাত্রী সামলাতে পারে। নানা প্রশ্ন ওঠে এখনকার সেবার মান নিয়েও। যাত্রীসেবার মান উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করতেই সরকার এ প্রকল্পটি নেয়। এই বিমানবন্দরে বর্তমানে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ২৩০ থেকে ২৪০টি বিমান ওঠানামা করে। প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে সংখ্যাটি আরও অনেকাটাই বাড়বে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানান, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই টার্মিনাল ভবন এখন দৃশ্যমান। এ বছরের অক্টোবর মাসেই থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে।’

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নতুন টার্মিনাল ভবনটি হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের, যা বর্তমান টার্মিনালের চেয়ে দুই গুণের বেশি। তৃতীয় টার্মিনাল ভবন ও অ্যাপ্রোনে বা বিমান রাখার জায়গায় একসাথে  ৩৭টি বিমান একসঙ্গে রাখা যাবে। সেই সাথে নতুন টার্মিনালে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট এবং ৬৪টি করে বহির্গমন ও আগমনী ইমিগ্রেশন থাকবে। এ ছাড়া থাকছে ২৭টি ব্যাগেজ এক্স-রে যন্ত্র ও ১১টি বডি স্ক্যানার। এই টার্মিনালে ৫৪ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে হবে তিনতলা গাড়ি পার্কিং। সেখানে রাখা যাবে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি।

সিঙ্গাপুরের সিপিজি করপোরেশন লিমিটেডের স্থপতি রোহানি বাহারিন শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটির নকশা করেছেন। যিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩, চীনের গুয়াংজুর এটিসি টাওয়ার ভবন এবং ভারতের আহমেদাবাদ ও পাকিস্তানের ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্থপতি।

এই টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ হিসেবে জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। টার্মিনালের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা করপোরেশন এবং কোরিয়ার স্যামসাংয়ে জোট ‘এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম’।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ। যা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।