ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এক পায়ে ১০ সেকেন্ড দাঁড়াতে অক্ষম ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি!

হেলথ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এক পায়ে ১০ সেকেন্ড দাঁড়াতে অক্ষম ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি- কি, শিরোনাম দেখে আতকে উঠছেন? গবেষনায় পাওয়া গেছে এমনই তথ্য।  মধ্যবয়সী মানুষ যারা এক পায়ে অন্তত ১০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না, তারা ১০ বছরের মধ্যে মারা যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। ব্রিটেনের একটি স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। 

গবেষকরা জানান, এমনিতেই ৫০ বছরের পর থেকে শরীরের ভারসাম্য কমতে শুরু করে। ফলে পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ১০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে দাঁড়াতে না পারা মৃত্যুঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত। এক হাজার ৭০২ জনের উপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একটি সমতল প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। তাদের স্থির ভারসাম্য পরিমাপ করা হয়েছিল এক পায়ে ১০ সেকেন্ড দাঁড়ানোর মাধ্যমে। অংশগ্রহণকারীকে ইচ্ছে মতো বাম বা ডান পায়ে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। পড়ে যাওয়া বা আঘাত প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসক বা নার্স সহকারী তাদের পাশে ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা দাঁড়ানোর সময় তাদের কনুই প্রসারিত রেখেছিলেন ও তাদের দৃষ্টি ছিল দুই মিটার দূরত্বের এক বিন্দুতে। 

গবেষণায় কী পাওয়া গেছে?

গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ সেকেন্ড এক পায়ে যারা দাঁড়াতে পারেননি তাদের মধ্যে বয়স্করাই বেশি। ৫১ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে চার দশমিক সাত শতাংশ জন কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেনি। ৭১ থেকে ৭৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৫০ শতাংশ।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, মধ্যবয়সী ও বয়স্ক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম ও সর্বজনীন মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৪ শতাংশ বেশি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় লাখ ৮৪ হাজার মানুষ শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পারায় আকস্মিক পড়ার কারণে মারা যায়। যার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি নিম্ন/মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, ৬০ বছরের বেশি বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো বলছে, পতনজনিত মৃত্যুর ৮০ শতাংশেরও বেশি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে। যেখানে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে এই মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ।

যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন জীবনের ক্রিয়াকলাপের উপর অনেকটাই নির্ভর করে শারীরিক ভারসাম্য ধরে রাখার বিষয়টি। ব্যায়াম হস্তক্ষেপ ভারসাম্য উন্নত করতে পারে বলছেন গবেষকরা।

এমনকি হু বয়স্কদের ভারসাম্য উন্নত করার জন্য কার্যকরী প্রশিক্ষণ, তাই চি’র মতো ভারসাম্য অনুশীলনের সুপারিশ করে। এগুলো ছাড়াও শরীরের ভারসাম্য বাড়াতে ও এর সঙ্গে যুক্ত মৃত্যু কমাতে হোম অ্যাসেসমেন্ট, সাইকোট্রপিক ওষুধ প্রত্যাহার, বয়স্কদের জন্য ভিটামিন ডি সম্পূরক অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়