ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসনে ১২ নারী কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ২৬টি দপ্তরে মধ্যে প্রথম তিনটিসহ ১২টি দপ্তর প্রধান হলেন নারী। নানা প্রতিকূলতা ও বাধা বিপত্তি পেরিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে নারীর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে নারী শুধু বধূ, মাতা কিংবা কন্যা নয়, পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পুরুষের পাশাপাশি তারাও সমান অংশীদার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন ১২ জন নারী। তারা প্রত্যেকে স্ব-স্ব পদে নিজ যোগ্যতা, দক্ষতা, সততা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তর। এই দপ্তর সরকার ও জনগণের মধ্যে সংযোগ সেতু হিসেবে কাজ করে। এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মোছা. মোরশেদা খাতুন। তিনি ২০২১ সালে ২ মার্চ বাজিতপুর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। বিসিএস (প্রশাসন) ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা মোছা. মোরশেদা খাতুন। ইতিমধ্যে সততা ও দক্ষতার সাথে নিজ দপ্তর পরিচালনা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। তার কর্মদক্ষতায় গতি এসেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম।

বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মোরশেদা খাতুন বলেন, “পুরুষ আর নারী একে অপরের পরিপূরক। প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্ষমতায়নকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছেন। নারীরা আজ পুরুষের সাথে সমানতালে বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে। বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসনের প্রায় সমান সমান নারী পুরুষ বলে দিচ্ছে আমরাও পারি।’

উপজেলা প্রশাসনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ভূমি অফিস। গত পহেলা জুন ৩৬তম বিসিএস’র কর্মকর্তা জেবুন নাহার উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসাবে যোগদান করেন। তার আগের এসিল্যান্ডও ছিল একজন নারী।
স্বাস্থ্য সেবা মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ডা. সিনথিয়া তাসমিন। তিনি ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার পর থেকে স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। সে ক্ষেত্রে সফলও হয়েছেন ৩৩তম বিসিএস কর্মকর্তা ।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মর্জিনা পারভীন। চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি বাজিতপুরে যোগদান করেন।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন আনোয়ারা বেগম। তিনি ২০২১ সালে ১৮ অক্টোবর বাজিতপুরে যোগদান করেন।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন ফারসীন সুলতানা। গত বছরে ২ ডিসেম্বর তিনি যোগদান করেন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের প্রধানের হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন দিলরুবা আক্তার। তিনি ২০২১ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাজিতপুরে যোগদান করেন।
কথা হয় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার এর সাথে, তিনি বলেন নারীরা এখন শুধু ঘরের কাজ করে না। নিজ নিজ যোগ্যতা, মেধা, বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কর্মক্ষেত্র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দেশের নারীরা শিক্ষিত হোক, আলোকিত জীবন লাভ করুক এই প্রত্যাশা করি।
উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দুই বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন কানিজ ফাতেমা জুঁই। তিনি ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর থেকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের যোগদান করেন।

উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন কমর্রত আছেন মাহামুদা ইসলাম লিজা। তথ্য আপা বলে পরিচিত মাহামুদা ইসলাম ২০১৮ সালে বাজিতপুরে যোগদান করেন।
অপরদিকে ২০১৯ সাল থেকে জাইকা প্রজেক্টের সমন্বয়ক হিসাবে বাজিতপুরে কর্মরত আছেন রোজি পারভীন। ২০১৪ সাল থেকে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের দায়িত্বে আছেন রাজিয়া সুলতানা। বাজিতপুর উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স ফর এডুকেশন এর সহকারী প্রোগ্রামার হয়ে কাজ করছেন সাঈফা খানম লিজা।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়