ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

চরম উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১২, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩  

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান চরম উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন।

গতকাল রোববার (২৯ জানুয়ারি) মিশর সফরের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করছেন তিনি।

এ সফরকালে ব্লিংকেন মার্কিন প্রভাব দিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করবেন। সোমবার ও মঙ্গলবার জেরুজালেম ও রামাল্লা সফর করবেন তিনি।

ইসরায়েলের নবগঠিত ডানপন্থী সরকারের সাথে সাক্ষাতের জন্যে ব্লিংকেনের সফর নিয়ে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানের ভয়াবহ সহিংস বাস্তবতায় এ সফর জরুরি হয়ে পড়েছিল। ব্লিংকেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ভিড্যান্ট প্যাটেল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ব্লিংকেন উত্তেজনা কমাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাবেন। এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতার প্রেক্ষিতে ব্লিংকেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সাথেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলিতে মারাত্মক সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। আশঙ্কা বাড়ছে যে এই ক্রমবর্ধমান সহিংসতা আরও বাড়তে থাকবে।

শুক্রবার জেরুজালেমের একটি সিনাগগের বাইরে এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর হামলা চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করে। ২০০৮ সালের পর জেরুজালেমে ইসরায়েলিদের ওপর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এই হামলার পর, বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। এটা কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান হামলা।

উগ্র-জাতীয়তাবাদী দলগুলি নিয়ে গঠিত নতুন ইসরায়েলি প্রশাসন পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ করতে চায়। ব্লিংকেন তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আবারও শান্ত থাকার জন্য আহবান জানাবেন এবং দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ওয়াশিংটনের সমর্থনের উপর জোর দেবেন। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, অদূর ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা নেই।

ইউক্রেনে রাশিয়ার ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধও আলোচ্যসূচিতে থাকবে। ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে বিপুল পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে। ইউক্রেন ইসরায়েলের আঞ্চলিক শত্রু ইরানের সরবরাহ করা ড্রোন এবং অন্যান্য ড্রোন ভূপাতিত করতে ইসরায়েলকে ড্রোন-বিধংসী ব্যাবস্থা (সিস্টেম) দেওয়ার জন্য বলেছে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করবেন কূটনীতিকরা। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করায় বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টা থমকে গেছে। আর ইরানকে পরমাণু-অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য কোনো বিকল্প পরিকল্পনা তাদের নেই।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়