ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জেলায় জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ২৬ নভেম্বর ২০২২  

জেলায় জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন

জেলায় জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জেলায় জেলায় যে সম্মেলন চলছে- তাতে নতুন মুখ তেমন একটা আসছে না। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরোনো নেতৃত্বকেই বেছে নিচ্ছে দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুরোনো নেতৃত্বের ওপরই আস্থা রাখছে আওয়ামী লীগ।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে দলের ৭৮ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন কার্যক্রম শেষ করা হবে। এরই মধ্যে ২৩ জেলায় সম্মেলন শেষ হয়েছে। মেয়াদ থাকায় ৩০ জেলার সম্মেলনের প্রয়োজন হচ্ছে না।

আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে ১৮ জেলার সম্মেলন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে দলের জাতীয় কাউন্সিলের পর। তবে জাতীয় কাউন্সিলের আগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুরের সম্মেলন নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কিছু দিন আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও আপাতত সম্মেলন হচ্ছে না শরীয়তপুরে।
সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার রেওয়াজ রয়েছে আওয়ামী লীগে। তবে এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি হচ্ছে না। ৭৮ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে একমাত্র রাঙামাটি জেলার কাউন্সিলররা ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছেন। ‘কেন এই ব্যতিক্রম’- জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন বলেই পুরোনো নেতৃত্বের কদর আরও বেড়েছে। ফলে তাঁরা স্বপদে বহাল থাকছেন। আর নির্বাচনের আগে তাঁদের ভূমিকা দলকে আরও মজবুত কাঠামোর ওপর দাঁড় করাবে।

সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের দৃষ্টিতে, ত্যাগের পাশাপাশি যোগ্যতা ও সততার পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছেন বলেই পুরোনো নেতৃত্বের বিকল্প ভাবা হচ্ছে না। তবে নতুনদেরও নেতৃত্বের পুরোভাগে আনা হচ্ছে।

বেশ কয়েকটি জেলায় সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন নেতৃত্ব এসেছে। অর্থাৎ পুরোনো ও নতুন নেতৃত্বের সংমিশ্রণে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এতে আগামী দিনগুলোতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতি পাবে।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, তুলনামূলক বিচারে আওয়ামী লীগের পুরোনো নেতারা ত্যাগী ও পরীক্ষিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিংবা বদনাম নেই। এ কারণেই জেলা পর্যায়ের সম্মেলনে তাঁদের স্বপদে বহাল রাখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। ‘আওয়ামী লীগ কি নতুনদের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না’ এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভরসা আছে বলেই নতুনদের দলের অন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হচ্ছে।
নতুন মুখ কম :এ পর্যন্ত যেসব জেলায় সম্মেলন শেষ হয়েছে এর মধ্যে ১১টিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুরোনোরাই ফের জায়গা করে নিয়েছেন। পাঁচ জেলায় সভাপতি ও দুই জেলায় সাধারণ সম্পাদক পদে নড়চড় হয়নি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছে মাত্র এক জেলায়। চার জেলায় সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছে। সাধারণ সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সভাপতি হয়েছেন একজন। চারজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও চারজন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভারমুক্ত হয়েছেন।

জাতীয় কাউন্সিলের পর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলন :দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম জানিয়েছেন, জাতীয় কাউন্সিলের আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে না। ৩০ নভেম্বর এই দুই সাংগঠনিক জেলার মেয়াদ পূর্ণ হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের সম্মেলন হবে।

ঢাকা বিদভাগের ১৭ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে আটটিতে সম্মেলন হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে আগের নেতৃত্বই রয়ে গেছে। সভাপতি পদে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের আবার দায়িত্ব পেয়েছেন। ঢাকা জেলার সভাপতি বেনজির আহমেদও একই দায়িত্বে রয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে পনিরুজ্জামান তরুণ নতুন মুখ। গাজীপুরেও একই চিত্র। বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের নড়চড় হয়নি। অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান সভাপতি হিসেবে গাজীপুর মহানগরে পুনর্বহাল থাকলেও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন আতাউল্লাহ মণ্ডল।
নরসিংদীতে সম্মেলনের আগেই সভাপতি পদ থেকে লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে আবদুল মতিন ভূঁইয়া অব্যাহতি পেয়েছিলেন। এই দুই নেতার পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জিএম তালেব হোসেন ও পীরজাদা মোহাম্মদ আলী। সম্মেলনে তাঁরা ভারমুক্ত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে সভাপতি পদে আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদ বাদল বহাল রয়েছেন। রাজবাড়ীর সভাপতি জিল্লুল হাকিম একই পদে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী এরাদত আলী ভারমুক্ত হয়েছেন। ফরিদপুরের দুই শীর্ষ নেতাই নতুন। তাঁরা হচ্ছেন সভাপতি পদে শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ।

দিনাজপুরে সম্মেলন সোমবার :রংপুর বিভাগের ৯টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে পঞ্চগড় ও গাইবান্ধায় সম্মেলন হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি। রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন ও আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে আগের মতোই সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। গাইবান্ধায় এসেছে নতুন মুখ। আগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামসুল আলম হিরুর জায়গায় পদোন্নতি পেয়েছেন আবু বকর সিদ্দিক। বিদায়ী কমিটিতে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নতুন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোজাম্মেল হক মণ্ডল।

এদিকে দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী বলেন, আগামী সোমবার দিনাজপুরে সম্মেলন হবে। রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক জানিয়েছেন, তিন বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ায় ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রংপুর মহানগরে সম্মেলন হচ্ছে না।

রাজশাহী এগিয়ে :জেলা সম্মেলন আয়োজনের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এই বিভাগের ৯টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে চারটিতে সম্মেলন হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁর নেতৃত্ব আগের মতোই রয়েছে। আব্দুল মালেক সভাপতি এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাধারণ সম্পাদক পদেই রয়েছেন। নাটোরে সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন নতুন মুখ শরিফুল ইসলাম রমজান।
সিরাজগঞ্জে সম্মেলনের আগেই সভাপতি পদ থেকে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত অব্যাহতি পেয়েছিলেন। এই দুই নেতার পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান ও আবদুস সামাদ তালুকদার। সম্মেলনে তাঁরা ভারমুক্ত হয়েছেন। পাবনার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম ফারুক প্রিন্স বহাল রয়েছেন। রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, মেয়াদ থাকায় জয়পুরহাট, রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী মহানগর কমিটির সম্মেলনের দরকার নেই।

জেলা সভাপতি অসুস্থ থাকায় : খুলনা বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে তিনটিতে সম্মেলন হলেও নেতৃত্বে পরিবর্তন আসেনি। মেহেরপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল সভাপতি ও আব্দুল খালেক সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রয়েছেন। একই চিত্র ঝিনাইদহে। সভাপতি পদে আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছাইদুল করিম মিন্টু আবারও দায়িত্ব পেয়েছেন। মাগুরার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহকে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে পঙ্কজ কুমার কুণ্ডুই রয়েছেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা মহানগরের সম্মেলনের প্রয়োজন নেই। তবে জেলা সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ারদার ছেলুন অসুস্থ থাকায় চুয়াডাঙ্গায় সম্মেলন হয়নি। এ মাসের শেষে কিংবা ডিসেম্বরের শুরুতে এ জেলার সম্মেলন হতে পারে বলে জানিয়েছেন খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

বরিশালে টানাপোড়েন : বরগুনা ও ভোলায় সম্মেলন হলেও বরিশাল নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এ জেলার সম্মেলনের দিনক্ষণও ঠিক হয়নি। এ নিয়ে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। সম্মেলন হলেও বরগুনায় শীর্ষ নেতৃত্বে বদল হয়নি। আগের মতোই সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও সাধারণ সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর কবীর রয়ে গেছেন।
ভোলায় সভাপতি পদে ফজলুল কাদের মজনুর নড়চড় হয়নি। সাধারণ সম্পাদক পদে মঈনুল হোসেন বিপ্লব নতুন মুখ। বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, আগামী রোববার পিরোজপুরের সম্মেলন হবে। তবে কমিটির মেয়াদ থাকায় পটুয়াখালী, বরিশাল মহানগর ও ঝালকাঠির সম্মেলন হবে না।

ময়মনসিংহের একটিতেও সম্মেলন হয়নি :ময়মনসিংহ বিভাগের পাঁচ সাংগঠনিক জেলার একটিতেও সম্মেলন হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯ মে শেরপুর, ২০ মে জামালপুর, ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগরের সম্মেলন হয়েছিল। এই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানিয়েছেন, আগামী সোমবার জামালপুর, মঙ্গলবার নেত্রকোনা, ৩ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলা ও ময়মনসিংহ মহানগর, ৬ ডিসেম্বর শেরপুরে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সুনামগঞ্জে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন :সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, বিভাগের পাঁচটি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট মহানগরের সম্মেলন প্রয়োজন নেই। এ সব জেলা কমিটির মেয়াদ এখনও রয়েছে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ সুনামগঞ্জের সম্মেলন হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর। এই জেলার সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।

রাঙামাটিতে শুধু ভোটাভুটি :একমাত্র রাঙামাটি জেলার কাউন্সিলররা ভোটাভুটির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন। সম্মেলনের শুরুর দিকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও শেষতক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান দীপঙ্কর তালুকদার। ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মুছা মাতব্বর।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা মহানগর এবং লক্ষ্মীপুরে সম্মেলন হলেও একটিতেও নতুন নেতৃত্ব আসেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সভাপতি পদে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদে আল মামুন সরকার বহাল রয়েছেন। একই চিত্র কুমিল্লা মহানগরেও। সভাপতি পদে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও সাধারণ সম্পাদক পদে আরফানুল হক রিফাত পুনর্বহাল হয়েছেন। পরিবর্তন আসেনি লক্ষ্মীপুরেও। গোলাম ফারুক পিংকু সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়ে গেছেন।

কমিটির মেয়াদ থাকায় এই বিভাগের কুমিল্লা উত্তর, ফেনী, চট্টগ্রাম উত্তর, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সম্মেলন হচ্ছে না। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর নোয়াখালী, ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ, ১১ ডিসেম্বর চাঁদপুর, ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম দক্ষিণ, ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়