ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের উড়ালসড়ক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৬, ৩০ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালসড়ক ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে। মেয়াদের ছয় মাস আগেই উড়ালসড়কটি চালু করতে এখন জোরেশোরে কাজ করা হচ্ছে। সড়কটি চালু হলে চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মেরুকরণ ঘটবে।

উড়াল সড়কটি সিইপিজেড, কেইপিজেড ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত করবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে। বন্দরনগরীর যানজটও কমবে, নগরীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “পতেঙ্গা থেকে যে কাজটা করে আসছি ওটা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যাতে টানেল দিয়ে ঢুকে সমস্ত গাড়িগুলো দ্রুত শহরে আসতে পারে।”

উড়ালসড়কের জন্য প্রণীত প্রথম ডিপিপিতে মাঝপথে গাড়ি ওঠা-নামা করতে নয়টি র‌্যাম্পের ব্যবস্থা ছিল। মাঝপথে বিশাল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সংশোধিত ডিপিপিতে ১৪টি র‌্যাম্পের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। 

কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “চট্টগ্রাম শহরে একটাই প্রধান সড়ক। ওইটার উপরই কাজটা করছি। এখন বিকল্প সড়ক ও আউটার রিং রোড হয়েছে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে দ্রুত সময়ের কাজটা শেষ করে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে লোক চট্টগ্রাম সিটি সেন্টারে চলে আসতে পারে।”

উড়াল সড়কটি চালু হলে শহর থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কিংবা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারী কিংবা ক্রেতারাও উপকৃত হবে। 

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক সরওয়ার হাসান জামিল বলেন, “যাতায়াতের কথা চিন্তা করে বিদেশি ক্রেতারা আসতে চায় না। এখন সেটার অবসান হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশাল আকারে বেড়ে যাবে।”

সর্বশেষ
জনপ্রিয়