ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ডেপ-হার্ডের সেই মামলা নিয়ে তথ্যচিত্র

স্যোসাল মিডিয়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২২, ৩ অক্টোবর ২০২২  

জনি ডেপ এবং অ্যাম্বার হার্ড

জনি ডেপ এবং অ্যাম্বার হার্ড

অভিনেতা জনি ডেপ এবং অ্যাম্বার হার্ডের মানহানির মামলা এবং এর ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এনবিসি নিউজ নির্মাণ করেছে একটি তথ্যচিত্র।

মাস তিনেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে রায়ের পর ওই মামলা নিয়ে কমবেশি প্রায় সবই জানা হয়ে গেছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ কমছে না, শেষ হচ্ছে না বিতর্কও।

ভ্যারাইটি জানিয়েছে ‘আ ম্যারেজ অন ট্রায়াল: জনি ডেপ, অ্যাম্বার হার্ড অ্যান্ড ট্রুথ ইন দ্য এইজ অব সোশ্যাল মিডিয়া’ শিরোনামের তথ্যচিত্রটি এনবিসি নিউজের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিসিনিউজডটকম এবং পিকক স্ট্রিমিংয়ের প্রকাশ করা হবে।

৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রটি বানিয়েছে এনবিসি নিউজের ডিজিটাল ডক্স ইউনিট।

গত ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, পরস্পরের মানহানি করেছেন দুই অভিনেতাই। সেজন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডেপকে এক কোটি তিন লাখ ডলার দেবেন হার্ড। আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে হার্ড পাবেন ২০ লাখ ডলার।

‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারাবিয়ান’ তারকা ডেপ এবং ‘অ্যাকুয়াম্যান’ তারকা হার্ডের এই মামলা ঘিয়ে তৈরি হওয়া তুমুল উত্তজেনা হলিউডের বাইরের দর্শকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। দেখা দেয় বিভক্তি।

এনবিসির জানিয়েছে, দুই অভিনয় শিল্পীর বিষয়ে দুই ভাগ হয়ে যাওয়া ভক্তদের প্রতিক্রিয়া তারা তুলে ধরেছে তথ্যচিত্রে। এছাড়া ডেপ-হার্ডের বিচারকাজ কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এত আলোড়ন তুলেছিল, সে বিষয়টি খোঁজার চেষ্টা করেছে এনবিসি নিউজের ডিজিটাল ডক্স ইউনিট। 

সোশ্যাল মিডিয়াই যদি দর্শকদের ওই খবর প্রাপ্তির মূল উৎস হয়ে থাকে, তাহলে মামলা-বিচারের খবর পরিপূর্ণভাবে সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখেছে এনবিসি নিউজ।

এনবিসি নিউজ পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছে, বিচার কাযর্ক্রমটি কীভাবে টিকটকনির্ভর বিচারের রূপ নিয়েছে এবং এই রায় ভবিষ্যতে গৃহ নির্যাতন মামলার ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে।

তথ্যচিত্র নির্মাণে হার্ডের আইনজীবী এলেন ব্রেডহফ্ট, ‘ন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট ডমেস্টিক ভায়োলেন্স’-এর  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুথ গ্লেন, আমেরিকান ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক এবং লিঙ্গ সহিংসতা বিশেষজ্ঞ জেমি আব্রামস, এনবিসি নিউজের সিনিয়র ব্রেকিং নিউজ রিপোর্টার দোহা মাদানি, এনবিসি নিউজ প্রযুক্তি সংস্কৃতি প্রতিবেদক ক্যাট টেনবার্গ এবং পিপল ম্যাগাজিনের সাংবাদিক নাইজেল স্মিথসহ আরও অনেকের সাক্ষাৎকার দেখানো হয়েছে।

ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে ২০১৫ সালে ঘর বেঁধেছিলেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড, কিন্তু দুই বছরের মধ্যে ঘটে তাদের বিচ্ছেদ। এরপর ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক নিবিন্ধে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেন হার্ড।

তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। তার পাল্টায় ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড। সাত সপ্তাহ ধরে চলা এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় গত ২৭ মে।

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বরাবরই জনি ডেপের চালান শারিরীক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গেছেন ৩৬ বছর বয়সী হার্ড। আর ৫৮ বছর বয়সী জনি ডেপ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন শুরু থেকেই।

ওই রায় ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পর ‘ডিসকভারি’ একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে। সেখানেও ডেপ-অ্যাম্বারের মধ্যে ঘটে যাওয়ার ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়