নালিয়ার দোলায় হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজ ডেস্ক
নালিয়ার দোলায় হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণ প্রান্তে কুড়িগ্রাম-উলিপুর-চিলমারী সড়কের কেতার মোড় সংলগ্ন নালিয়ার দোলায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে একটি পত্র পাঠানো হয়েছে। ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণে সদরের মোঘলবাসা ও বেলগাছা ইউনিয়নে নালিয়ার দোলা অবস্থিত। এই স্থানে সরকারের ৮৫ দশমিক ৩৪ একর খাস জমি রয়েছে। দোলাটি এক ফসলি এবং এর কাছ দিয়ে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথ ও সড়ক পথ চলে গেছে। নালিয়ার দোলা স্থানটির পশ্চিমে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প নগরীর অবস্থান। এছাড়া পূর্বে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে ধরলা নদী। ফলে স্থানটি নৌ-যোগাযোগ ও গবেষণার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা নালিয়ার দোলাকে প্রথম পছন্দের স্থান হিসেবে জানিয়েছি। সরকারি খাস জমির বাইরে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে আমরা ২৬০ একর জমির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছি।’
নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইউজিসি পরিচালক বলেন, ‘ওই স্থানটি শহর থেকে কাছে। এক ফসলি জমি, সড়ক-রেল ও নৌ-যোগাযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা, থানা থেকে দূরত্বসহ সার্বিক বিবেচনায় ওই স্থানটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। প্রথম ফেজে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জন্য তাই আমরা ওই স্থানটি বরাদ্দের সুপারিশ করেছি।’
নিজের গবেষণা ও বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ইউজিসি পরিচালক আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের জন্য আমরা দুবার কুড়িগ্রামে গেছি। নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রিসার্স পারসনসহ সবার জন্য সুবিধা হবে। এছাড়া স্থানটি নদীভাঙন মুক্ত। তবে নদী থেকে কাছে। অভিজ্ঞতা ও সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন করেছি।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আমাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ইউজিসির যে টেকনিক্যাল মতামত, সেই আলোকে নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ইউজিসি এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই স্থানটি চূড়ান্ত হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন বলেন, ‘ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের বিষয়ে যে চিঠি পেয়েছি, তা জেলা প্রশাসকের কাছে অগ্রগামী করেছি। জমি নির্ধারণের বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখবে। আমরা জায়গা চাই, আপনারা যেখানে জায়গা দেবেন আমরা সেখানে কার্যক্রম শুরু করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে ভিসি বলেন, ‘আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। সে অনুযায়ী ইউজিসি বরাবর পরিকল্পনা জমা দিয়েছি। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে দুটি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করে ক্লাস শুরু করা হবে। প্রত্যেক বিভাগে ৩০ জন করে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবো।’
অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কয়েক দশক ধরে বন্ধ থাকা কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিল চত্বরকে ব্যবহারের বিষয়ে প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান ভিসি। তবে সেটা সম্ভব না হলে ভবন ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
- আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে: মেয়র টিটু
- ২ মন্ত্রী পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ
- কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে প্রাথমিক পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
- ময়মনসিংহের হোটেল ও রিসোর্ট এর তালিকা সমূহ
- ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বোধন হবে শতাধিক প্রকল্প
- ফের ময়মনসিংহ নগরীতে ভোটের হাওয়া
- ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে প্রতিটি কাঁঠাল গাছে শোভা পাচ্ছে মুচি
- বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের সানজিদা
- ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মণ্ডা, স্বপ্নে পাওয়া মিষ্টির সুনাম ২০০ বছরেও কমেনি