ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

বীর জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১৯ মার্চ ২০২৪  

বীর জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ

বীর জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ

১৯৭১ সালের এই দিন পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয় গাজীপুরের জয়দেবপুরে। সেদিন জয়দেবপুর জমিদারবাড়িতে অবস্থিত ১০নং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঘাঁটি দখল করতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাক বাহিনীর একটি দল জয়দেবপুর ক্যান্টমেন্টের উদ্দেশে রওনা হয়। তাদের ঠেকাতে প্রায় ৫০ হাজার মুক্তিপাগল বাঙালি জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে মালগাড়ির ওয়াগন ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা পাক বাহিনীর বেশকিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানি সেনারা বিক্ষুব্ধ মানুষের ওপর গুলি চালায়। এতে হুরমত, নিয়ামত ও মনু খলিফাসহ অনেকে শহীদ হন। তাদের স্মরণেই প্রতিষ্ঠা করা হয় ভাস্কর্য ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’।

এতে ঢাকাসহ সারাদেশে উত্তাল হয়ে ওঠে। বাঙালিরা স্লোগান দেয়- ‘জয়দেবপুরের পথ ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ দিন সন্ধ্যায় জয়দেবপুর শহরে অনির্দিষ্টকালের সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। তার আগে বেলা ১১টায় প্রেসিডেন্ট হাউসে তৃতীয় দফা আলোচনায় বসেন ইয়াহিয়া খান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই দিন সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া খানের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর উপদেষ্টা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ড. কামাল হোসেনেরও প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়। এসব আলোচনাও বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ব্যর্থ হয়।

এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু আহূত অসহযোগ আন্দোলনের তীব্রতা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়ে যায় ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ। ঢাকায় সব মিছিলের ঠিকানা আগের দিনগুলোর মতোই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। সমবেতা জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাঁচার ব্যবস্থা করে যাব।

ন্যাপপ্রধান মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া অহেতুক ঢাকায় সময় নষ্ট করছেন। তার বোঝা উচিত, শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়া পাকিস্তানকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। ইয়াহিয়ার মনে রাখা উচিত, তিনি জনগণের প্রতিনিধি নন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়