প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল যশোর
নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল যশোর
লাখো জনতার উল্লাস-আনন্দধ্বনি, শ্লোগান আর একের পর এক মিছিলে মিছিলে ভোর থেকেই উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছিল পুরো নগরী। একে একে সব মিছিল গিয়ে মিলিত হয় স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে, লাখো মানুষের প্রবল জনস্রোতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। এখানে আজ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ভাষণদান করেন।
ধীরে ধীরে জনতা আশপাশের এলাকা, রাস্তাঘাট ও ফাঁকা জায়গাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে, দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকার আকারে তৈরি করা মঞ্চে আসার আগেই পুরো নগরী বিশাল এক মানব সমুদ্রে পরিণত হয়।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ২৭ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাকার বাইরে এটিই ছিল শেখ হাসিনার সশরীরে প্রথম জনসমাবেশে উপস্থিতি। এই জনসভার মাধ্যমে তিনি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তাঁর দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
শহরে উৎসবমুখর পরিবেশে সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উৎসাহী হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনার আগমন শুধু যশোর নয়, গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নেতাকর্মীদের মুগ্ধ করেছে।
‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে এবং রঙিন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে, রঙিন টি-শার্ট, মাথায় টুপি, হেডব্যান্ড পরে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নির্বাচনী প্রতীক নৌকাসহ জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করে সমাবেশস্থলের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়।
মহিলারা বড় এবং ছোট দলে পাশাপাশি পৃথকভাবে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশদ্বারে হাসিমুখে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করেছিলেন।
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও যশোরের আশেপাশের এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাস, পিকআপ ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন এবং অনেককে পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়।
মণিরামপুর উপজেলা থেকে আসা একদল মানুষ জানান, সামনের সারিতে নিজেদের জায়গা পেতে তারা তাড়াহুড়ো করে জনসভাস্থলে পৌঁছে যান। বিশাল ভিড়ের কারণে, তারা ভয় পেয়েছিল যে দেরী হলে তারা সভাস্থলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে রঙিন তোরণ ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা দারাটানা মোড়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গরীবশাহ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যশোর স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। ৫০ বছর পর একই মাঠে জনসভায় ভাষণ দিলেন তার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা।
পাঁচ বছর আগে, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় সর্বশেষ ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।
- আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে: মেয়র টিটু
- ২ মন্ত্রী পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ
- ময়মনসিংহের হোটেল ও রিসোর্ট এর তালিকা সমূহ
- কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে প্রাথমিক পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
- ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বোধন হবে শতাধিক প্রকল্প
- ফের ময়মনসিংহ নগরীতে ভোটের হাওয়া
- ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে প্রতিটি কাঁঠাল গাছে শোভা পাচ্ছে মুচি
- বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের সানজিদা
- ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মণ্ডা, স্বপ্নে পাওয়া মিষ্টির সুনাম ২০০ বছরেও কমেনি