ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

প্রাথমিক শিক্ষকদের ঈদ বোনাস নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২৯ মে ২০২৩  

প্রাথমিক শিক্ষকদের ঈদ বোনাস নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক শিক্ষকদের ঈদ বোনাস নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয়

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষকরা এবার আগেভাগেই ঈদ বোনাস পাবেন। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ পাওয়ার ৩ মাস পরও বেতন ছাড় হয়নি নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রাক-প্রাথমিকের ৩৭ হাজার শিক্ষকের।

এরপর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দ্রুত বেতন ভাতা ছাড় করে প্রাথমিক ও অর্থ মন্ত্রণালয়। এবার সেই বিতর্ক এড়াতে আগেভাগেই ঈদুল আজহার উৎসব এবং শিক্ষা ভাতার ২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

গত ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ঈদ উৎসব ও শিক্ষা ভাতা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ বাবদ ২৫ কোটি ২৪ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি ৪) এর সার-কম্পোনেন্ট "প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের নির্মিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পিইডিপির আওতায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাক প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষকদের ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা এবং শিক্ষা ভাতা বাবদ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ বাবদ মোট ২৫ কোটি ২৬ লাখ ৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ অর্থ তালিকা প্রাপ্ত থানা/উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অধীনে বরাদ্দ এবং ব্যয় করার মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হলো।

বলা হয়েছে, এ ব্যয় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের উন্নয়ন বাজেটের সংশোধিত মঞ্জুরি নং ২১, পিইডিপির আওতাভুক্ত অর্থনৈতিক কোডের অনুকূলে বরাদ্দ টাকা থেকে ব্যয় করা হবে।

আরও বলা হয়েছে, বরাদ্দ হওয়া অর্থ শতভাগ জিওবি (সরকারি অর্থায়ন) খাত থেকে ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই বরাদ্দ অর্থের অতিরিক্ত উত্তোলন/ব্যয় করা যাবে না। কোনো ক্রমেই সংযুক্ত হতে বর্ণিত খাত এবং অর্থনৈতিক কোড ব্যতীত অন্য কোনো উপ-খাত এবং কোডে ব্যয় করা যাবে না।

সরকারি আর্থিক বিধি বিধান অনুসরণপূর্বক অর্থ ব্যয় করতে হবে। এ ব্যয়ের যাবতীয় অডিট দপ্তরে সম্পাদিত হবে বিধায় খরচের সকল ডাউচার অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে যেন চাওয়া মাত্র পাওয়া যায়।

উল্লেখ করা হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের বিবরণী অবশ্যই ডিপিইতে সাত দিনের মধ্যে এন্ট্রি দিতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে না। কোনো প্রকার অনিয়মিত ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী থাকবেন।

এতে মহাপরিচালকের অনুমোদন রয়েছে। চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারকে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসে (প্রয়োজন অনুযায়ী) প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়