ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পড়ুন, গল্প লেখার পেছনের গল্প

সাহিত্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালের কথা। এ সময়টা ছিল  আমার জীবনের এক উল্লেখযোগ্য স্মরণীয় মুহূর্তের গল্প, যা মনের মনিকোঠায় এখনো নস্টালজিক অনুভূতিগুলোর নাম মনোচ্ছবি হয়ে জ্বলজ্বল করছে। আমি নাজনীন মোসাব্বের রুচি, ২০০১ সালে গুলশান-২-এর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নাচের প্রশিক্ষক হিসাবে ঢুকে পুরো দুস্তর ইংরেজির শিক্ষক বনে যাওয়া ছিল আমার জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। নিজেকে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে প্রস্তুত করে তুলতে যিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিলেন তিনি আমার স্কুলের ও মানারত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল মিসেস হাসিনা খান। 

উনার আদর ভালোবাসায় আমি শিক্ষক হিসেবে এতটাই প্রিয় হয়ে উঠেছিলাম যে, আমার সুইট হোমও বাচ্চাদের কল-কাকলিতে ভরপুর হয়ে উঠেছিল। অসম্ভব ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেছি পুরো বছর জুড়েই। শুক্র-শনি নাচের ক্লাস ও বাকি দিনগুলো লেখাপড়ার কাজে ব্যয় করেছি। এভাবে ১৮টা বছর পার করেছি। 

২০২০ সালের প্রথম দিকে করোনা নামক কীটটি আমার ব্যস্তময় জীবনকে স্থবির করে দেয়। বন্দি ঘরের দুর্বিষহ জীবনের মাঝে খুঁজতে থাকি এক টুকরো স্বস্তির পরশ। ফেলে আসা জীবনের স্মৃতিগুলোই হয়ে ওঠে সময় কাটানোর একমাত্র অবলম্বন। আমার এই নস্টালজিক অনুভূতিগুলোই আমাকে কলম ধরতে বাধ্য করে যেটা ১৮ বছরেও ধরতে পারি নাই বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী হয়েও। 

ভাবতে এখনো অবাক লাগে আমি একটা একটা করে প্রায় ২৫টা কবিতা ও ৪টা গল্প লিখেছি ওই সময়। বাংলার প্রতি আমার এই প্রেম এতদিন কোথায় ছিল? নাকি মনের গহীনে অভিমানে জাগ্রত হয়ে প্রহর গুনছিল। যা স্ফুলিঙ্গের মতো বেরিয়ে আসতে শুরু করলো ওই সময়। 

এই কবিতাগুলো একত্রিত করে নাম দিয়েছিলাম ‘কে বলে বুড়ো’ ও হাতে লেখার চিঠির আংশিক ও পরের বছরে পুরো গল্পটা শেষ করে নামকরণ করেছি ‘অপরাহ্ণের চিঠি’ যা এই ২০২৩ এ বইমেলায় বের হতে যাচ্ছে অনুজ প্রকাশন থেকে এবং এর একমাত্র পরিবেশক এশিয়া পাবলিকেশনস। পাওয়া যাবে এশিয়া পাবলিকেশনস এর স্টল নম্বর ১৩-১৬ স্টলে।

মোদ্দা কথা বাংলার প্রতি ভালোবাসার ফসল আমার এই দু’টো গ্রন্থ যে ভালোবাসা এতদিন লুকায়িত ছিল। আমার পরিবার আমাকে ‘হাইডেন ট্যালেন্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছে কিন্তু আমি জানিনা আমি এটা হতে পেরেছি কিনা! আমি মনে করি, পাঠকই এর উৎকৃষ্ট বিচারক। বাংলার জয় হোক, বাংলা সাহিত্যের জয় হোক। আমি শুধু ভালো কবি হতে চাই না, ভালো লেখক হতে চাই। যে লেখার মাধ্যমে সমাজের কাছে আমাদের বক্তব্য থাকবে, মেসেজ থাকবে, তবেই না বাংলা সাহিত্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়