ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ব্রুনাইয়ে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৪ মে ২০২৩  

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ব্রুনাইয়ে

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ব্রুনাইয়ে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে দূতাবাস।

অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনা করা হয়।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন। হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন শান্তিপ্রিয় এবং মহান রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। যিনি স্বাধীনতার লড়াইয়ের মাধ্যমে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে একটি সার্বভৌম জাতি হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।

হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকায় একটি বিশাল জনসমাবেশের সামনে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যা ৭ মার্চের ভাষণ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণকে কেন্দ্র করে বাঙালি হয়ে ওঠেন স্বাধীনতা আন্দোলনের অনুঘটক।

হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান থেকে যুদ্ধ করে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু। তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে জাতি পুনর্গঠনে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর পুনর্বাসনে মনোনিবেশ করেন। বঙ্গবন্ধু শান্তি ও কূটনীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিকারের পক্ষে।

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু তার বৈদেশিক নীতিতে জোট নিরপেক্ষতা, শান্তি এবং সহযোগিতার ওপর জোর দেন। দুর্ভাগ্যবশত, তার শান্তি ও একটি মর্মান্তিক ঘটনায় শেষ হয়ে যায়। ৭৫’এর ১৫ আগস্ট তিনি এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে হত্যা করা হয়। এ ঘটনাটি বাংলাদেশকে যেমন শোকে স্তব্ধ করে দেয় তেমনি দেশের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে গভীর প্রভাব ফেলে।

বক্তব্যের উপসংহারে হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তিপ্রিয় উত্তরাধিকার বাংলাদেশ ও এর বাইরের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার দিকে চলমান যাত্রার প্রতীক। আমরা সৌভাগ্যবান যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়