ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ৪ অক্টোবর ২০২২  

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ, এটা হবে। সবাই মিলে বাংলাদেশ হবে। আজ সারা বাংলাদেশে আমরা এই দৃশ্যটি দেখছি। পুরো বাংলাদেশে আজ সবাই পূজার আনন্দে বিভোর। এখানে কে মুসলমান, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান তার প্রশ্ন আসে না। প্রশ্ন আসে, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা সবাই তার সঙ্গে ভাগিদার হচ্ছি।

সোমবার (৩ অক্টোবর) কাওরান বাজারে এটিএন নিউজ কার্যালয়ের সামনে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। মিডিয়া পল্লিতেও পূজা হচ্ছে। মুন্নী সাহার নেতৃত্বে সবাই এক সঙ্গে পূজার ব্যবস্থা করেন। অনেকেই এ বছর সন্দেহ করেছিল, গত বছরের কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছিলো... এগুলো আমি মনে করি আকষ্মিক অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছিল।  আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, সারা বাংলাদেশে ১৫ হাজারের মতো পূজামণ্ডপ হতো।  আজ ৩২ হাজার ২০০টিরও বেশি পূজামণ্ডপ হয়েছে। প্রতি বছর সংখ্যা বাড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এটা বিশ্বাস করি বলেই আজ একত্রিত হয়েছি আমরা। একটা দুর্বার অগ্রগতি আপনার দেখছেন।   

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সবাই মিলে পরিবার সবাই মিলে দেশ। সবাই মিলে বাংলাদেশ। সব মানুষ মিলে আমরা গোটা এক পরিবার। বাংলাদেশে বিভেদ বলে কিছুই নেই, থাকবেও না। অতীতে আমরা একত্রে যেভাবে বসবাস করেছি, হাজার বছর এভাবেই বসবাস করবো।

এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ছোট বেলায় আমরা দিনাজপুরে থাকতাম, আমার বাসার চারপাশে ছিল হিন্দু পরিবার। মাঝখানে আমরা একটা মুসলমান পরিবার ছিলাম। ছোট বেলায় দেখতাম, পূজা হচ্ছে, উৎসব হচ্ছে। আমরা সবাই যেতাম। মনে করতাম আমাদেরই একটা উৎসব হচ্ছে। সে রকম হিন্দু পরিবাররাও আসতো ঈদের সময়। সে সময় কোনোদিন দেখিনি, এ রকম পুলিশ ঘেরাও করে পূজা হতে, পুলিশ দিয়ে পূজামণ্ডপ রক্ষা করতে।আমি মনে করি এটার বড় একটি কারণ ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আমি সোশাল মিডিয়াকেই দায়ী করবো।  আমাদের সময় ছোট বেলার সময় সোশাল মিডিয়াও ছিল না। এ রকম গ্যাঞ্জামও হতো না। কোনোদিন দেখিনি পূজার ঠাকুর ভাঙতে। বরং হিন্দুদের পূজায় আমাদেরও উৎসব লেগে যেতো।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়