ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিদ্যালয়ের পাশে কোন সিগারেটের দোকান নয়, খেয়াল রাখবে প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জাকিয়া পারভীন। তিনি বিদ্যালয়ের পাশে যেন কোন সিগারেটের দোকান বসতে না পারে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তাহলেই শিক্ষার্থীদের মাঝে ধূমপানের প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে তিনি মনে করেন।

সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. চৌধুরী শাহরিয়ার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এর ওপর আলোচনা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মুজিবুর রহমান বেলাল, জেলা বিএমএ সম্পাদক ডা. এমএ ওয়াহাব বাদল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহসীন খান প্রমুখ।

প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে ২৫ হাজার মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবনে নানা রোগে মারা যায়। গর্ভবতী নারীরা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে গর্ভের সন্তানেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়। দেশের ৩৫ দশমিক ৩০ ভাগ মানুষ ধূমপানসহ তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে। বছরে তামাকজনিত রোগে চিকিৎসা ব্যয় হয় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। আর এই খাতে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২২ সালে জেলায় তামাক বিরোধী ৮৭টি ভ্রম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ১৩৩টি। জরিমানা আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৯০০ টাকা।

বিভিন্ন বক্তা বলেন, বর্তমান সময়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধূমপানের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এটা এক সময় ছিল না। ফলে পরিবারসহ সবাইকেই শিক্ষার্থীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে হবে। ধূমপান করতে করতেই এরা নানা রকম মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে বলে বক্তাগণ মন্তব্য করেছেন।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়