ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই : সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২২, ২০ এপ্রিল ২০২৪  

তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই : সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই : সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং গঠনমূলক সমালোচনা যেমন একটি গণতন্ত্র, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য। একইভাবে তথ্যের বিপরীতে অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। যখন সমাজ ধ্বংস হবে তখন কেউই রেহাই পাবো না। 

তিনি বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে একটি দায় আছে, কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি? এবং কীভাবে তথ্যের প্রবাহ আরো নিশিত করতে পারি। কিন্তু এ তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো কাটাছেঁড়া করতে চাই না।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজ ও সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার একটি পরিবেশ বাংলাদেশে তৈরি করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার মুক্তগণমাধ্যম, চমৎকার পরিবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। জাতির উপকারে আসে, এমন বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আমরা কিন্তু তথ্য প্রবাহ অবাধ করতে চাই। সঠিক তথ্য দেওয়ার বিষয়গুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। সেই সঙ্গে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট বাস্তবে আরও বেশি নিশ্চিত করতে চাই। আপনারা জানেন আমাদের দীর্ঘদিনের ঔপনিবেশিক ইতিহাস আছে যে কারণে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা যুক্ত থাকেন তাদের অনেকে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অনীহা প্রকাশ করেন। এটি একটা কালচারাল বিষয়। তো আমাদের শুধু আইন করলেই হবে না, কাজে লাগাতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আমরা একটি বার্তা দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি রাইট টু ইনফর্মেশন অ্যাক্ট আরো সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী করতে। কেউ যদি তথ্য চায় তবে অবশ্যই তাকে দিতে হবে। কারণ সরকারের বিভিন্ন তথ্য যদি জনগণ চায় তবে সেটা দিতে আমরা বাধ্য। তথ্য চাইতে গেলে কারোর বিব্রত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

তিনি আরো বলেন, দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের অনলাইন, অনলাইনের জন্য নিবন্ধিত এবং নিবন্ধন পেতে আবেদন করা অনলাইন গণমাধ্যম ছাড়া বাকি সব অনলাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে। দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে। আর রেজিস্টার অনলাইন আছে ২১৩টি। একইসঙ্গে যেগুলো দরখাস্ত করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেবো। দরখাস্ত করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধ হবে না। কারণ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা অনলাইন কিভাবে চলছে সেটা দেখতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়