ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

যখন কাউকে ভালোবাসি উজাড় করেই ভালোবাসি : জয়া

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২৮ মে ২০২৩  

জয়া আহসান

জয়া আহসান

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অর্ধাঙ্গিনী’ মুক্তি পাবে ২ জুন। এই সিনেমার অন্যতম স্তম্ভ জয়া আহসান ভারতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কেন ঢাকার চেয়ে কলকাতায় বেশি কাজ করেছেন তিনি? 

২০১৩-তে আবর্ত দিয়ে ভারতে বাংলা ছবির যাত্রা শুরু করেন জয়া। 

এ প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, ‘এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় পাওয়া। ‘আবর্ত’ দিয়ে শুরু, আর এই ২০২৩-এ ‘অর্ধাঙ্গিনী’ মুক্তি পাবে। ভাল যেটা হয়েছে, দারুণ কিছু মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। ভালো কিছু ছবি করেছি। একটা দেশের সাধারণ মানুষকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। একজন অভিনেতা হিসেবে দুটো দেশে কাজ করাটা ভাগ্যের ব‌্যাপার। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। নিজের অ্যাক্টিং কেরিয়ারকে আলাদা করে গ্লোরিফাই করার মতো কিছু নয়। এটা একটা কনটিনিউয়াস প্রসেস। এটা চলবে। আর এখানকার দর্শকের ভালবাসা পেয়েছি। হয়তো সংখ্যায় অনেক কাজ করিনি। কিন্তু আমার ছবি এলে দর্শক একটা অন্যরকম এক্সপেকটেশন রাখে, এটাই আমার পাওনা।’

কেন ঢাকার চেয়ে কলকাতায় বেশি কাজ করেছেন জয়া? সে কথা জানালেন তিনি। বললেন, ‘এখানে পরপর ভালো কিছু কাজ পেয়েছি। নিজের দেশেও কাজ করেছি, তবে এখানে একটু বেশি। এখন আবার ভেবেছি বাংলাদেশের কাজের ওপর ফোকাস করব। তাছাড়া আমি নিজেকে একটা ব্রেকও দিয়েছিলাম। নিজেকে, পরিবারকে সময় দিয়েছি। নিজের কিছু ব্যক্তিগত কাজ থাকে, ব্যক্তিগত আরাম থাকে- সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া। শুধু আলসে করতে ইচ্ছে করে বা একেবারে কিছু না করা- এটাও বোধহয় একজন অভিনেতার খুব দরকার! কিছু করব না, ছবিও দেখব না, পড়বও না, আলসে করব, ঘুমাব, খাব- এটাও দরকার আছে।’

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবিতে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি রয়েছে। যেখানে জয়ার চরিত্র সবসময়ই টানাপোড়েনের মাঝখানে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন- ‘হ্যাঁ, এটা বললে ভুল হবে না যে ‘বিজয়া’, ‘বিসর্জন’-এর মতোই এটাও সম্পর্কের সিকুয়েলের গল্প। সম্পর্কের গল্প, দ্বন্দ্বের গল্প।’

‘প্রাক্তন’ এবং ‘বর্তমান’-এর একটা সংঘাতের আভাস পাওয়া যায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’-র ট্রেলারে। নিজের জীবনে অভিজ্ঞতার বিষয়ে নায়িকা বলেন, ‘আমি বলতেই পারি, নিজের জীবনেও আমি ‘মেঘনা’র (আমার চরিত্রের নাম) মতো করেই সামলাব! হয়তো সেটা করার চেষ্টাই করব। কারণ আমার সহনশীলতা আছে, ধৈর্য‌ও আছে। ইনসিকিওরিটি নেই কোনও। যখন কাউকে ভালোবাসি, তাকে উজাড় করেই ভালোবাসি। ‘সত্যে’র যেমন একটা স্ট্রেন্থ আছে ভালোবাসারও তেমন একটা স্ট্রেন্থ আছে।’

প্রেমে পড়লে ইনসিকিওরিটি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নাহ নেই, মানে তাই তো দেখেছি। বা থাকলেও সেটা লুকিয়ে রাখি।’

কলকাতায় কাজ করে সবচেয়ে বড় পাওয়া কী জয়ার? এ প্রশ্নের জবাবে জয়া আহসান বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় একটা দেশ পেয়ে গেছি। ছোটবেলা থেকে এত গল্প শুনেছি, ইন্ডিয়াকে কখনো আলাদা একটা দেশ ভাবতাম না। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি বলতেন ইন্ডিয়া আমাদেরই দেশ। বাবা সবসময় দু’দেশের কথা বলতে গিয়ে ‘আমরা’ করেই বলতেন। কলকাতাকে আলাদা করে দেখেননি। সেটাকে নতুন করে পাওয়া আমার কাজের মধ্য দিয়ে। বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। এখান থেকে অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছি, এখানকার মানুষ আমাকে ভালোবাসছে, এটা দেখতে পেলে বাবা ভীষণ খুশি হতেন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাবাকে খুব মিস করি।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়