যমুনা নদী ঘিরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নদী প্রকল্প
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি
যমুনা নদী ঘিরে নেয়া হয়েছে সোয়া তিন লাখ কোটি টাকার প্রকল্প। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নদী প্রকল্প। নদীশাসনের মাধ্যমে বন্যা ও নদীভাঙন রোধ, পানিপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি দুই তীরে গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক অঞ্চল, টাউনশিপ ও ইকো টুরিজম। ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহন বাড়বে তিন গুণ; আর নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাড়বে আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য। অর্থনীতিবিদদের আশা, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যমুনা ইকোনমিক করিডোর জিডিপিতে যোগ করবে ৩৬৪ বিলিয়ন ডলার।
যমুনাপারের বাসিন্দাদের যেন কষ্টের সীমা নেই। প্রতিনিয়ত ভাঙনে নিঃস্ব জনগোষ্ঠীকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই দেয় না যমুনার সর্বগ্রাসী ভাঙন।
এমন অবস্থার পরিবর্তনে যমুনা নদী ঘিরে সোয়া তিন লাখ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। যমুনা রিভার ইকোনমিক করিডোর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটিতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বিশ্বব্যাংক। দুই পাড় বাঁধাই করে পর্যায়ক্রমে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতুর উত্তর পাড় থেকে কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া পর্যন্ত ২৩০ কিলোমিটার ঘিরে ইকোনমিক করিডোর, টাউনশিপ, ইকো টুরিজম গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, পানি প্রবাহ ঠিক রাখা এবং পাড় বাঁধাই নিয়ে বড় ধরনের কাজের অধ্যয়ন চলছে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নদী প্রকল্পের আওতায় নদীভাঙন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। বর্তমানে নদীর প্রস্থ ১২ থেকে ২০ কিলোমিটার হলেও নদীশাসনের মাধ্যমে দুই পাড় সংকুচিত করে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে রূপ দেয়া হবে। পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাড়ানো হবে গভীরতা।
ভারতের সঙ্গে বছরে পণ্য পরিবহন তিন গুণ বেড়ে দাঁড়াবে ১ দশমিক ১৫ কোটি টনে। বর্তমানে নাব্য সংকটের কারণে যা মাত্র ৩৫ লাখ টন। এ ছাড়া নৌপথে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও পণ্য পরিবহন করা যাবে। সেই সঙ্গে ২০৪৪ সাল নাগাদ দেশের অর্থনীতিতে ৩৬২ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ৭১ লাখ কোটি টাকা যুক্ত হওয়ার আশাবাদ।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘এখানকার ইকো টুরিজমটা আমরা মোটেও ব্যবহার করছি না। সেটা করতে পারলে বড় ধরনের একটা কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে।’
নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা ডেলটা প্ল্যান বা বদ্বীপ পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ যমুনাকেন্দ্রিক এ প্রকল্প।
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে রেকর্ড সংখ্যক পর্যবেক্ষক
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- 2024 election was the fairest since 1975: PM
- দ্রুত এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ
- সুষ্ঠু নির্বাচনে সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান ১৫২ বাংলাদেশি
- এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ১৬৮ কি.মি দীর্ঘ মেরিনড্রাইভ
- মানবিক নারী পুতুল ও অটিস্টিক শিশুদের নতুন ভোর