ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যে কারণে খুলনা ছেড়ে মাকে নিয়ে ঢাকায় মরিয়ম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

যে কারণে খুলনা ছেড়ে মাকে নিয়ে ঢাকায় মরিয়ম

যে কারণে খুলনা ছেড়ে মাকে নিয়ে ঢাকায় মরিয়ম

নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগমকে নিরাপত্তার ‘অজুহাতে’ খুলনা থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। সোমবার ভোরে মাকে নিয়ে ঢাকার ভাড়া বাসায় পৌঁছান মরিয়ম।

সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মরিয়ম মান্নান। তিনি বলেন, গতকাল মাকে নিয়ে বয়রার বাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে মায়ের জন্য নিরাপদ মনে হয়নি। তাই রাতেই মাকে নিয়ে ঢাকায় আসি।

মরিয়ম আরো জানান, রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার বাসায় তাদের সঙ্গে ছোট বোন আদুরি বেগম ও বড় দুলাভাই রয়েছেন। সোমবার মা রহিমা বেগমকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এর আগে রোববার বিকেলে রহিমাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির পর তাকে মুচলেকায় মামলার বাদী মেয়ে আদুরির জিম্মায় দেন আদালত। পরে তাকে বয়রা এলাকায় ছোট মেয়ে আদুরির বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন তার সন্তানরা। এ মামলা তদন্তকালে পুলিশ ও র‌্যাব ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করে।

১৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে দেন। এখন এ মামলার তদন্ত করছে পিবিআই পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। ২২ সেপ্টেম্বর রহিমার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ওরফে মরিয়ম মান্নান দাবি করেন, তার মায়ের মরদেহ তিনি পেয়েছেন। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ফুলপুরে দিনভর অবস্থান নেন এবং ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেন। একই সঙ্গে সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত এক নারী মরদেহকে নিজের মা বলে শনাক্ত করেন।

এদিকে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই খুলনার এসপি সৈয়দ মুশফেকুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশনা মতো মামলার বাদী আদুরী আক্তারের জিম্মায় তাদের মা রহিমা বেগমকে দেওয়া হয়েছে। মেয়েরা তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছেন বলে শুনেছেন তিনি।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়