ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রমজানে ওমরাহ করলে মিলবে হজের সওয়াব

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ৩০ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মে হজ ও ওমরাহ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই দুইটির সওয়াব ও ফজিলত অপরিসীম। বিভিন্ন হাদিসে হজ ও ওমরাহর বিপুল সওয়াবের কথা এসেছে।

উলেখ্য, হজের সময় নির্ধারিত হলেও ওমরাহ বছরের যেকোনো সময় আদায় করা যায় এবং হজের তুলনায় ওমরাহ একটি সহজ এবং কম সময়ের মধ্যে করা আমল।

রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার প্রিয় হাবিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, ‘এক ওমরার পর আরেক ওমরাহ- উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহর) জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর জান্নাতই হলো কবুল হজের প্রতিদান। (বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)

তাই সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ করা উচিত। এছাড়াও অধিক ওমরাহ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিজিকে বরকত দেন।

আল্লাহর রাসূল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘তোমরা ধারাবাহিক হজ ও ওমরাহ আদায় করতে থাকো। এ দুটি আমল দারিদ্র্য ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন- ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা-জং দূরীভূত হয়ে থাকে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)

পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালন করলে হজের সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। এই জন্য যাদের সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে, তারা সম্ভব হলে রমজানে পবিত্র ওমরাহ পালন করা উচিত। এতে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও ইবাদত সুন্দরভাবে পালনের পাশাপাশি বিপুল সওয়াব লাভও হবে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) এক আনসারি নারীকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের?’ ইবনে আব্বাস (রা.) নারীর নাম বলেছিলেন; কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। ওই নারী বলল, ‘আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল; কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (অর্থাৎ নারীর স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি।’ নবী (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিয়ো। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য।’ (বুখারি, হাদিস: ১৭৮২)

আল্লাহ তাআলা আমাদের রমজান মাসে বেশি বেশি ওমরা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়