ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

রাম সেতু বানরবাহিনীর তৈরি নাকি প্রকৃতির বিস্ময়?

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ২৬ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আদম বা রাম সেতুর নাম কমবেশি সবারই জানা। তামিলনাড়ুর পামবান দ্বীপকে সমুদ্রের ওপারে শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে সেতুটি।

হিন্দু পৌরাণিক প্রচলিত গল্প অনুসারে, রাম সেতু রামায়ণের সঙ্গে সম্পর্কিত। মা সীতাকে রাবণের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য শ্রী রাম এবং তার বানর বাহিনী একটি সেতু তৈরি করেছিলেন, যার নাম ছিল রাম সেতু।

অন্যদিকে মুসলিম ইতিহাস অনুসারে, আদম (আঃ) নাকি প্রথম এই সেতু অতিক্রম করেছিলেন। এজন্য একে আদম সেতু বলা হয়।

দ্য জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া অনুযায়ী, প্রজেক্ট রামেশ্বরম নামে একটি সমীক্ষা বলেছে রামেশ্বরম দ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা দ্বীপটি ৭০০০-১৮০০০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছিল। অর্থাৎ সেতুটি ৫০০-৬০০ বছরের পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৮ কিলোমিটার। রামেশ্বরমে ভাসমান পাথর দেখা যায়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পাথরের ওপর দিয়ে হেঁটে সেতুটি পার হওয়ার সময় পাথরগুলো ডুবে না যাওয়াটাই অলৌকিক ঘটনা।

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, রাম সেতু নির্মাণ করেছিল রামের বানর সেনাবাহিনী। কার্বন পরীক্ষায় দেখা গেছে, রামায়ণের সময় (৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব) ও সেতুর কার্বন বিশ্লেষণ পুরোপুরি মিলে যায়।

তবে রাম সেতু কি মানুষের তৈরি নাকি প্রচলিত গল্প অনুসারে এটি বানরবাহিনী দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল তার কোনো সঠিক প্রমাণ নেই। আজও এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে সেতুটি মানবসৃষ্ট।

১৫ শত পর্যন্ত নাকি পায়ে হেঁটেই এই সেতু অতিক্রম করা যেত। রেকর্ড অনুসারে, ১৪৮০ সালের দিকে সেতুটি সম্পূর্ণরূপে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে ছিল।

তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুটি সম্পূর্ণ সাগরে তলিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাম বা আদম সেতু হলো প্রাকৃতিক চুনাপাথরের শোল দিয়ে তৈরি একটি প্রকৃতির বিস্ময়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়