ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নেত্রকোণা জেলায় বোরো ফসলে বাম্পার ফলন, কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

নেত্রকোণা জেলায় বোরো ফসলে বাম্পার ফলন, কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক

নেত্রকোণা জেলায় বোরো ফসলে বাম্পার ফলন, কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক

নেত্রকোণায় চলতি বোরো মৌসুমে ফসলে বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। প্রকৃতি পরিবেশ অনুকূল থাকায় জেলার হাওরাঞ্চলে চলছে এখন ধান কাটার মহোৎসব। চারদিকে মনকাড়া ধানের ম ম গন্ধ। ঘরে বসে নেই গৃহবধূ কিষাণীরাও মাঠে মাঠে ধান উড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উঠতি বয়সের ডানপিটে শিশুরাও সেখানে মনের আনন্দে দুরন্তপনায় মেতে উঠেছে। হাওরাঞ্চলে এখন এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিরাজ করছে।
নেত্রকোণা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩২০ একর জমিতে বোরো ফসল আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ২২৩ টন ধান। নেত্রকোণা ধান উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে গণ্য। জেলার ১০ উপজেলার ছয়টি হাওরে জমির পরিমাণ ৪১ হাজার ৭০ হেক্টর। কৃষকদের সহায়তায় ভর্তুকি মূল্যে হওরাঞ্চলে ৫৬০টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা চলছে। এ ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে তিন শতাধিক হারভেস্টারের পাশাপাশি অনেকে আবার শ্রমিক দিয়েও ধান কাটাচ্ছেন।
কৃষিবিদরা জেলায় এবার ৮ লাখ ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৭১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যা দেশের অর্থনীতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
বরাবরের মতো এবারও ফঁড়িয়ারা ধান মাড়ানোর সাথে সাথে বিভিন্ন খলা থেকে মোটা জাতের ধান ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা এবং চিকন জাতের ধান ৯০০ থেকে ৯৪০ টাকা মণ দরে ক্রয় করছেন। আগামী ৭ মে থেকে ধান সংগ্রহের অভিযান শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আপাতত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায় কৃষকরা নির্বিগ্নে ফসল কাটতে পারছেন।হাওরাঞ্চলের কৃষক ইয়াদ আলী বলেন, ‘শরীরের ঘাম ঝড়ানো ফসল পেটে না দিয়া খলায় কম দামে বিক্রি করতে হইতাছে বাধ্য হইয়াই। আগে মহাজনের ঋণের টাকা পরিশোধ কইরা পরে নিজের প্রযোজনের কথা ভাবা যাইবো। তবে এবার ফসল ভালা হওয়াই আমরা অনেক খুশি।’
নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত সার মজুদ ও ব্রি-আর ৮৮. ৮৯ ও ৯২ উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান রোপণে পরামর্শ ও সহায়তার কারণে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। আশা করছি মে মাসের মধ্যে সব ফসল কাটা হয়ে যাবে। ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্ট মেশিন দিয়ে ফসল কাটায় প্রতি এক একরে অন্তত ১০ হাজার টাকা সেভ হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়