ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৬ নভেম্বর ২০২৩  

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনা শুরু হয়েছে। চাঁদপাই এবং শরণখোলা রেঞ্জে ৩০০টি স্টেশনে দুটি করে ৬০০ ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। পরে তা বিশ্লেষণ শেষে ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।

গতকাল দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে এ জরিপ কাজের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। বাঘ গণনা কাযক্রম উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের (খুলনা) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম, চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।

জরিপ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। তাই সুন্দরবন সুরক্ষা করে বাঘ সংরক্ষণ করতে হবে। বাঘ সংরক্ষণে যা যা দরকার আমরা করব। তবে এক্ষেত্রে বনরক্ষী, সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’ বাঘ সংরক্ষণে সুন্দরবনসংলগ্ন লোকালয়ে বসবাসকারীদের বাঘের গুরুত্ব জানানোর কথাও বলেন তিনি।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় গণনা কাজে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বাকি দুটি রেঞ্জ বাগেরহাটের পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে এরই মধ্যে জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে জরিপ শেষ হবে।

বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন বলেন, ‘সুন্দরবনে বাঘের শিকার প্রাণী বাড়ছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার।’ তাই সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা তাদের।

তিনি আরো বলেন, ‘বাঘ গণনার বৈশ্বিক যে পদ্ধতি সেটা হলো ক্যামেরা ট্রাপিং। এর মাধ্যমে বাঘের ঘনত্ব নির্ণয় করে সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের ৪ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘ গণনার কাজ চালানো হবে। ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের মুখমণ্ডল ও ডোরাকাটার ছাপ উঠে আসবে। এটা জটিল একটা পরিসংখ্যান কাজ। এ কাজ করেই বাঘের সংখ্যা বের করা হবে।’

সুন্দরবনে প্রথম বাঘ জরিপের কাজ শুরু হয় ২০১৩-১৪ সালে। সেই জরিপে ১০৬টি বাঘ সুন্দরবনে আছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়