ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হলুদ-বেগুনি ফুলকপিতে রঙিন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের চাষী সাদ্দাম

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:১২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভৈরবে হলুদ-বেগুনি বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে যেনো রঙিন হয়ে উঠেছেন সবজি চাষী সাদ্দাম মিয়া। আর হবেনই না কেনো? ১৫ শতক জমিতে এই ফুলকপি চাষ করে যদি লাখ টাকা মুনাফা হয়? তার এই সফলতায় যেমনি খুশি তিনি, তেমনি সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও। আগামীতে এই সবজিটির আবাদ এখানে ব্যাপকভাবে করা হবে বলে জানালেন তারা।

সবুজ মাঝখানে গাঢ় হলুদ আর বেগুনি রঙের নিটোল ফুলকপি। দেখতে যেমন বাহারি, বাজারদর সাধারণের চেয়ে ৩/৪ গুণ বেশি। খেতে সুস্বাদু আর পুষ্টিগুণের কারণে ক্রেতা চাহিদাও ব্যাপক। অল্প খরচে বেশী মুনাফায় তাই খুশি সাদ্দাম।

সাদ্দাম মিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী পরিখারপাড় এলাকার একজন সবজি চাষী। তিনি প্রতিবছর হরেক রকমের সবজি আবাদ করে থাকেন।

তিনি জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ১৫ শতক জমিতে তিনি এই বাহারি রঙের ফুলকপির আবাদ করেন। ইতোমধ্যে লাখ টাকারও বেশী বিক্রি হয়ে গেছে। তার ধারণা, বাকিগুলি বিক্রি হলে খরচ বাদে তার মোট মুনাফা হবে এক লাখ টাকার চেয়েও বেশী। তাই তিনি বেশ খুশি।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন কৃষিব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. বাইতুল হক জানান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মানিকদী পরিখারপাড় এলাকার কৃষক সাদ্দাম হোসেনের মাধ্যমে এই বাহারি ফুলকপির আবাদ করানো হয়।

ভৈরবের কৃষিতে এটি একটি নতুন সংযোজন। পরীক্ষামূলকভাবে এই সবজির প্রদর্শনী আবাদ করানো হয়েছিলো। সফলতা আসায় আগামীতে এ অঞ্চলে এই সুস্বাদু আর পুষ্টিগুণের সবজিটি ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করানো হবে।

এই জমিতে ফলন ও বালায়নাশকের জন্য কোনো রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। প্রয়োগ করা হয়েছে জৈব সার এবং সেক্স ফেরোমন কৌটা। ফলে এটি একটি নিরাপদ সবজি। পুষ্টিগুণে দ্বিগুণ। ক্রেতা চাহিদা আর বাজারদরও বেশ ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষক সাদ্দামকে দিয়ে এই বাহারি ফুলকপির প্রদর্শনীটি করা হয়েছে। প্রথমবারই এটির বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাহারি রঙের কারণে কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে।
সাধারণ ফুলকপি প্রতিটি যেখানে ২০/৩০ টাকায় বিক্রি হয়, সেখানে এটি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। যা কৃষকদের বেশ আগ্রহ করে তুলেছে।

এন্থোসায়ানিন ক্যারোটিনয়েড নামক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতিতে ফুলকপির রং হলুদ ও বেগুনি হয়। ফলে এইসব ফুলকপিতে ভিটামিন এ.সি.কে ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, এন্টিএক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপকারি পদার্থ থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়