ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

২৫৬ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়া ছেলেটি যেভাবে হয়ে উঠলেন পর্দার মুজিব

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৪, ১৫ অক্টোবর ২০২৩  

২৫৬ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়া ছেলেটি যেভাবে হয়ে উঠলেন পর্দার মুজিব

২৫৬ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়া ছেলেটি যেভাবে হয়ে উঠলেন পর্দার মুজিব

ময়মনসিংহ থেকে যেদিন ঢাকায় এসেছিলেন আরিফিন শুভ, সেদিন পকেটে ছিল মাত্র ২৫৬ টাকা। সেদিন পকেট ফাঁকা থাকলেও এক আকাশ স্বপ্ন তার। প্রতিনিয়ত তাই সে স্বপ্ন তাকে তাড়িত করেছে। ছুটেছেন, পরিশ্রম করেছেন এবং হয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক, পর্দার ‘মুজিব’।

‘মুজিব’ মুক্তি উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে শুভ জানালেন মুজিব হয়ে ওঠার গল্প, শুটিংয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের চিত্রায়ণ আর যাপিত জীবনের হালহকিকত। শুভ বলেন, ‘প্রতিটি মানুষই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে। সে সংগ্রাম ছোট বা বড় হতে পারে; কিন্তু সংগ্রাম করেই মানুষের চলতে হয়। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও সংগ্রামের গল্প তো সবারই কমবেশি জানা। সেই জানা ও চেনা গল্পটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কিন্তু সহজ ছিল না।’

শুভ জানান, পর্দায় মুজিব হয়ে ওঠাটা তার জন্য ব্যাপক পরিশ্রমের, কষ্টের, দ্বিধার ছিল। বলেন, ‘দিনশেষে সেটা পেরেছি। সবার সহযোগিতায় সেটা পেরেছি। আমি আমার সাধ্যমতো ও সাধ্যের চেয়ে বেশি চেষ্টা করেছিলাম ছবিটিতে ঠিকঠাক সব করতে। বাকিটা সবাই দেখার পর জানবেন, বুঝবেন, বলবেন।’

২০২১ সালে শুটিং শুরু হয় ‘মুজিব’ সিনেমাটির। মাঝখানে কেটে গেছে প্রায় দুই বছর। মাঝের এই সময়ে নতুন কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হননি শুভ। থেকেছেন মুজিব হয়েই। স্বপ্নের প্রজেক্টের শেষটা দেখেই তৃপ্তি নিয়ে অন্য কাজে মনোযোগ দিতে চেয়েছেন। যে মানুষটি দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাকে নিয়ে দেশের প্রথম অফিসিয়াল বায়োগ্রাফি। তাতে আবার মুখ্য চরিত্র। স্বভাবতই আবেগি হয়ে পড়েন শুভ। জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের পর আর যদি কোনো অভিনয় নাও করি বা পৃথিবী থেকে চলেও যেতে হয়, তাতেও কোনো আক্ষেপ নেই।’

সিনেমাটিতে যদি মুজিব না হয়ে অন্য চরিত্রে নির্বাচন হতেন অভিনয় করতেন না? শুভ জানালেন, এই সিনেমায় অন্য কোনো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও করতেন। তার ভাষ্য, ‘এই সিনেমায় যদি আমাকে পাসিং শটের জন্যও নেওয়া হতো অথবা স্পট বয়ের কাজও দিত, সেটিও আমার জন্য শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ করা এবং জাতির পিতাকে নিয়ে একটা সিনেমা হয়েছে– তার অংশ হওয়াটাও অনেক বড় বিষয় হয়ে থাকত।’

পর্দায় দেশের বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা বলতে গেলে নায়ক হিসেবে জীবনের সেরা প্রাপ্তিটাই পেয়ে গেছেন শুভ। এরপরও কি বড় কাজের ক্ষুধা আরও থাকবে? শুভর সাবলীল উত্তর, একজন অভিনেতার অভিনয়ের ক্ষুধা কখনও শেষ হওয়ার নয়, শ্যাম বেনেগালদের মতো নির্মাতাদের নির্মাণে কাজ করার ক্ষুধা আরও তাড়িত করবে। কাজের ক্ষুধা আরও বাড়বে, বিস্তৃত হবে।’

আরিফিন শুভ ২০০৫ সালে মডেলিং শুরু করেন। এরপর ২০০৭ সালে প্রথম মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘হ্যাঁ-না’ নাটকে অভিনয় করেন। আর ২০১০ সালে খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘জাগো’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে মুক্তি পেয়েছে শুভর দুই ডজনের বেশি সিনেমা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়