ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক এঁর বাণী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৬ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৬শে মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণায় আজ থেকে ৫২ বছর আগে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নিয়েছিল পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের একটি দেশ-বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সেই অবিনাশী ডাক, ‘এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।

বাংলাদেশের জনগণ, তোমরা যে যেখানেই আছ এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শেষ পর্যন্ত দখলদার সৈন্য বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমি তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি। পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর শেষ সৈনিকটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’ – যেই ডাকে সাড়া দিয়ে শুরু হয় বিজয় অর্জনের পথে আমাদের রক্তক্ষয়ী অগ্রযাত্রা।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত; দুই লক্ষ মা-বোনের অনির্বচনীয় ত্যাগ, আর কোটি শরণার্থীর শেকড় ছেঁড়ার যাতনা-তিলতিল করে নয় মাস ধরে তৈরি করেছে আমাদের বিজয়সোপান। পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির সেই পরিচয় যে পরিচয়ে জাতির পিতা আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সমগ্র পৃথিবীর সামনে, ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।’

এই সেই পরিচয় যেই পরিচয়কে এখনো রাজমুকুট করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুতনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। কিসিঞ্জারের সেই তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল, হাজারও বিপত্তি অতিক্রম করে মাথা উঁচু করে নিজেকে চেনানোর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া স্পর্শ করেছে আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে।

এখন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। এরই অংশ হিসেবে ‘স্মার্ট নেত্রকোণা’ তৈরিতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।
একাত্তরে নেত্রকোণা জেলার রয়েছে এক রক্তক্ষয়ী বীরত্বের ইতিহাস। আজ বাংলাদেশ জন্মের এই ৫২ বছর পূর্তিতে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের হাতধরে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভূখণ্ডে শ্বাস নেয়ার স্বাদ; স্মরণ করছি সকল শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারদের যাঁরা পর্দার আড়ালে থেকে যুদ্ধ করেছে, যেই অদেখা যুদ্ধটা থেকে গেছে পর্দার আঁড়ালে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরিতে, একাত্তরের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে আসুন আমরা একযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়নে একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। জয় আমাদের হবেই। কারণ কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না।
জয় বাংলা।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়