ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিদেশি তিন কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেবেন আদালত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিদেশি তিন কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেবেন আদালত

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিদেশি তিন কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেবেন আদালত

নাইকো দুর্নীতি মামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার তিন কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন মঞ্জুর করেন।

সাক্ষীরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) কর্মকর্তা কেবিন দুগ্গান এবং কানাডিয়ান পুলিশের কর্মকর্তা লয়েড শোয়েপ ও ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথ।

গত ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ আবেদন করেন। এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। তিনি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। 

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯-এর অস্থায়ী এজলাসে গতকালের শুনানি হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশিকে সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেন।

গতকাল মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি নেই জানিয়ে জেরা পেছানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ অক্টোবর জেরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

আইন-আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়