রাজধানীতে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিসি ক্যামেরা
নিউজ ডেস্ক
রাজধানীতে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিসি ক্যামেরা
অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ‘ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা’। এই ধরনের প্রযুক্তির ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে অনেক অপরাধীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেইসঙ্গে রহস্যভেদ হয়েছে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলারও। রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে স্থাপন করা এক হাজার ৬শ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অসংখ্য চাঞ্চল্যকর, গুরুত্বপূর্ণ মামলাসহ নানা ধরনের অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের আট বিভাগে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০ হাজার সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। পুলিশ যেসব সিসিটিভি বসিয়েছে তার মধ্যে অপরাধ দমন ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। এসব সিসিটিভি অপরাধ করে অপরাধী পালানোর সময় এই ধরনের সিসিটিভি সংকেত দেবে। রাজধানী ঢাকার অপরাধ দমন, নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় সিসিটিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বিবেচনা করেই পরিকল্পনা নিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে, বিশেষ করে ব্যস্ত রাস্তার মোড়, ইন্টারসেকশন, প্রবেশ-বাহির পথ, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা-কেপিআই সংলগ্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রাইম ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা আরও ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব ক্যামেরায় স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম, ফেস ডিটেকশন (চেহারা চিহ্নিতকরণ), গাড়ির নম্বর প্লেট চিহ্নিতকরণ প্রযুক্তি বা এএনপিআরসহ অন্তত ১১ ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব হবে। এই পরিকল্পনার একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, ডিজিটাল টহল নিশ্চিত করা। অর্থাৎ গভীর রাতেও নির্জন রাস্তা থাকবে পুলিশের নজরদারিতে।
ক্যামেরায় চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি থাকায় অপরাধী এবং পলাতক আসামিদের সহজেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। চুরি এবং ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করে কেউ পালিয়ে যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়লে-তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া থাকবে স্বয়ংক্রিয় শব্দ চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা। রাজধানীর কোথাও কোনো শব্দ হলে তাৎক্ষণিকভাবে শব্দের বিস্তারিত তথ্যসহ কন্ট্রোলরুমে সিগন্যাল চলে যাবে। ফলে পুলিশের ভাষায় ‘শুটিং ইনসিডেন্ট’ বা গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে তথ্য পাবে পুলিশ। এমনকি কত দূরে গুলি হয়েছে এবং কী ধরনের অস্ত্রের গুলি, তাও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ক্যামেরায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় এখন এক হাজার ৬শ সিসিটিভি সক্রিয় আছে। এসব সিসিটিভির মধ্যে নতুন যে ছয় শতাধিক ক্যামেরা বসানো হয়েছে তার মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০ হাজার সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনার আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত আছে। এই ধরনের সিসিটিভি বসানো হলে রাজধানী ঢাকার অপরাধ দমন, নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার আওতায় চলে আসবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন করে অপরাধী ধরা পড়বে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, অপরাধ দমন ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছে পুলিশ। চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাইসহ অপরাধ দমন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, যানজট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে এই প্রযুক্তি। অপরাধী গ্রেপ্তারেও সহায়ক হবে। অপরাধী অপরাধ করে পালানোর সময় সংকেত দেবে এই ধরনের সিসিটিভি।
ডিএমপি সূত্র জানান, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি প্রযুক্তি অপরাধীদের আগের অপরাধের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানান দেবে অপরাধীর অবস্থান। এতে আধুনিক সফটওয়্যার সংযুক্ত রয়েছে। ফলে সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই অপরাধীর চেহারা শনাক্তসহ তার কোনো ডাটাবেজ থাকলে তা সহজেই বের করা যাবে। ক্যামেরাগুলো গাড়ির নম্বরের দিকেও খেয়াল রাখবে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নম্বরপ্লেটের ছবি তুলে রাখতে পারবে।
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- মাছ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সার্বিক সহযোগিতা করবে সরকার : মৎস্যমন্ত্রী
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে রেকর্ড সংখ্যক পর্যবেক্ষক
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- 2024 election was the fairest since 1975: PM
- দ্রুত এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ
- সুষ্ঠু নির্বাচনে সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান ১৫২ বাংলাদেশি
- মানবিক নারী পুতুল ও অটিস্টিক শিশুদের নতুন ভোর