ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনে কাজ করবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ২৩ মে ২০২৪  

সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনে কাজ করবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া

সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গঠনে কাজ করবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া

সমৃদ্ধশালী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়তে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভয়ভীতিহীন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চায় দেশ দুটি।বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং-য়ের মধ্যে বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মালয়েশিয়ার একটি বিমানে ঢাকায় পৌঁছান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিককেন্দ্রিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, দক্ষিণ এশিয়ায় কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ, সুমদ্র নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব পাচার রোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া- উভয় দেশই ভারত মহাসাগরের অংশ। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুই দেশই এক অঞ্চল ও সুমদ্রের অংশ।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রের অখন্ডতা এবং এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার, সুমদ্র ও আকাশপথে চলাচলে স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ বিবাদ মীমাংসার বিষয়ে দুই মন্ত্রী তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে গাজায় চলমান চরম অমানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উভয়পক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং দুই দেশ সমাধান বিষয়ে সমর্থন ব্যক্ত করে।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার, যা ১০ বছর আগেও ১০০ কোটি ডলারের কম ছিল। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও গভীর ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উভয় দেশ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়া তাদের শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষিজাত প্রক্রিয়াজাত শিল্প, আইসিটি ও লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কানেক্টিভিটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অবকাঠামো কানেক্টিভিটি প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা করেন। ওই প্রোগ্রামে বিশ্বব্যাংক ও অন্যরাও অংশীদার হতে আগ্রহী বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের হাতে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুই দেশ। অবৈধ ও অনিরাপদ মানব পাচার বন্ধের বিষয়ে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্বকে উভয়পক্ষই স্বীকার করে নিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়া প্রস্তাব করেছে, তাদের কোস্ট গার্ডের কমান্ডার এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করবেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়