ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

জীবদ্দশায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর দেখে যেতে চান প্রধান বিচারপতি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

নিজের জীবদ্দশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহনকারী একটি জাদুঘর দেখে যেতে চান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান। এখান থেকেই প্রথম মিছিল বের হয়েছিল। এই অবদান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আয়োজিত ফোক ফেস্ট ও শীতকালীন পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আপিল বিভাগের বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা ভাষার মাস। এই মাসে আমরা অনেক অনুষ্ঠান করে থাকি। এই অনুষ্ঠানগুলো আমরা বাংলায় করি। বাংলায় কথা বলার ওপর একটি চাপ আছে। বিশেষ করে আমরা যারা এই আইন অঙ্গনে আছি তাদের ওপর একটি বাড়তি চাপ আছে। উচ্চতর আদালতে কেন বাংলা ভাষা প্রচলন নেই বা বাংলা ভাষা কম কেন, সেই প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই বাংলা ভাষায় রায় দেওয়ারও চেষ্টা করছেন।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আমি বলেছিলাম, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে। ভাষা আন্দোলনের মিটিং হয়েছিল বর্তমান জহুরুল হক হলের পুকুর পার থেকে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কি কোনো জাদুঘর আছে? আমি কিছুদিন আগে দেখে এসেছি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ওপর ভিত্তি করে পাঞ্জাবের অমৃতসরে একটি জাদুঘর করা হয়েছে। যেখানে গেলে মনে হয় আমি ১৯৪৭ সালে ফিরে গিয়েছি। ঠিক একইভাবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জাদুঘর করা হোক। যেখানে গেলে মনে হবে আমি ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ভিসি তখন আমার কথা নোট নিয়েছেন এবং বলেছেন তিনি এটা করবেন। তখন আমি বলেছি আমরা জীবিত থাকা অবস্থায়ই যেন এটা করা হয়।

অনুষ্ঠানে দেশীয় বিভিন্ন পিঠা, জিলাপি, চটপটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সবশেষে লোকসংগীত পরিবেশন করা হয়।

আইন-আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়