ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহারের উদ্যোগ ডিএমপির

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ৫ মে ২০২৪  

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহারের উদ্যোগ ডিএমপির

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহারের উদ্যোগ ডিএমপির

রাজধানীতে চলমান তীব্র দাবদাহে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের কথা বিবেচনা করে আগামীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান।

রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের মিডিয়া সেন্টারে ‘অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানের বিষয়ে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মেহেদি হাসান বলেন, এরই মধ্যে গুলশানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা হচ্ছে। যা আমরা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় পরিচালনা করছি। এভাবে গুলশানের মতো ঢাকা শহরের অন্যান্য জায়গায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কীভাবে কাজ শুরু করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।তিনি বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামনে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে মেহেদি হাসান বলেন, এটি আমাদের দাফতরিক কাজেরই অংশ। তারপরও ইদানিং আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত ৩ হাজারের অধিক ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেয়াদ নেই এমন ২ হাজারের অধিক যানবাহন ডাম্পিং করেছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ডিএমপির পদক্ষেপের বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা আমরা ডাম্পিং করেছি। বিশেষভাবে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।

যত্রতত্র পার্কিং ও স্টপেজে গাড়ি না থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, আমাদের ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি যত্রতত্র পার্কিং না করতে এবং নির্দিষ্ট স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে। কেউ অনিয়ম করলে আমরা জরিমানা ও মামলা দিয়ে থাকি।

অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকার রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহন দেখা যাচ্ছে। স্টিকার ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে। অন্যায় করে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের আত্মীয়-স্বজনরাই পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করছেন। এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ পর্যন্ত ৩৬০টি অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার বন্ধ না করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়