ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

পরিবেশ সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৫ মে ২০২৪  

পরিবেশ সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার

পরিবেশ সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পরিবেশ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যদি স্থানীয় প্রভাবশালী দ্বারা হয়রানির শিকার হন তাহলে তার পাশে দাঁড়াবে তথ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের পূর্ণ সমর্থন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। কারণ পরিবেশবিষয়ক এসব প্রতিবেদন সরকারের নীতি বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গতকাল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত  ‘জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপচেষ্টা সরকার বরদাশত করবে না। সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। ফরিদা ইয়াসমিন এমপি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী। আলোচনায় সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়