ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে মেহনতি মানুষের জয়গান গেয়েছেন : খাদ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৬, ২ মে ২০২৪  

বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে মেহনতি মানুষের জয়গান গেয়েছেন : খাদ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে মেহনতি মানুষের জয়গান গেয়েছেন : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে মেহনতি মানুষেরই জয়গান গেয়েছেন।

গতকাল (বুধবার) নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আর অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে’। এই ভাষণ বিশ্বের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু জানতেন শোষিত নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজে সাম্য আসবে না। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে মালিকদের সাথে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

পরে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ফিরে শেষ হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়