ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বন্দরনগরীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের অগ্রগতি প্রায় ৭০ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৬, ৪ অক্টোবর ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বন্দরনগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের সময় বাড়লেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে ১০ কিলোমিটার অংশ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে যানজট রোধে পতেঙ্গা থেকে নিমতলা পর্যন্ত অংশ খুলে দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

সিডিএ জানায়, এ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। নকশা পরিবর্তন ও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সময় ও ব্যয় বেড়েছে প্রকল্পটির। ফলে পুরো প্রকল্প শেষ হতে সময় লাগবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে সৃষ্ট যানজট নিরসনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আংশিক চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সিডিএ। এতে টানেল এলাকায় যানজট কমার পাশাপাশি, বিমানবন্দর থেকে আসা যাত্রীরা অল্প সময়ে নগরে প্রবেশ করতে পারবেন।  

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৩০০টিরও বেশি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। টানেল চালুর সঙ্গে সঙ্গে যেন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে আংশিক অংশ চালু করার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে দেওয়ানহাট থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত অংশের কাজ এখনও শুরু করা যায়নি।  

এদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য ৯টি র‌্যাম্প থাকলেও নতুন সংশোধিত নকশায় আরও ৬টি বাড়িয়ে ১৫টি র‌্যাম্প রাখা হয়েছে। ফলে সব জায়গা থেকেই এ রুট ব্যবহার করা যাবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে টোল আদায়ের কথাও ভাবছে সিডিএ। তবে টোলের হার এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৯টি র‌্যাম্প থাকলে নতুন নকশা অনুযায়ী ১৫টি র‌্যাম্প থাকবে। কারণে এত বড় প্রকল্পের সুফল পেতে হলে সব জায়গা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই আমাদের এই পরিকল্পনা।  

তিনি আরও বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে টোলের বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় আছে। কারণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা সরকারের কাছ থেকে যে টাকা লোন পাচ্ছি, তা নির্দিষ্ট সময়ে ২ শতাংশ সুদে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সিডিএর নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস নেই। তাই বাধ্য হয়েই টোল নিতে হবে। তবে যে টোল নির্ধারণ করা হবে তা হবে নামমাত্র। যাতে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীদের কোনো বাড়তি খরচের মুখে পড়তে না হয়।  

সর্বশেষ
জনপ্রিয়